বগুড়ার শেরপুরের এক ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে বিনা ছুটিতে বিদেশ যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এতে করে ইউনিয়নবাসীরা বিভিন্ন ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।প্রতিদিন তারা পরিষদে এসে ঘুরে যাচ্ছেন।শেরপুর উপজেলার ৩ নং খামারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে এমন ঘটনা ঘটেছে।এই পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম আব্দুল মোমিন মহসিন।নিয়ম অনুযায়ী কোনো জনপ্রতিনিধি (ইউপি চেয়ারম্যান) যেকোনো প্রয়োজনে,বিদেশ গেলে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছুটি নিতে হবে তাকে।এক্ষেত্রে আব্দুল মোমিন মহসিন,সেটি করেননি।খোঁজ নিয়ে জানা যায়,তার বিদেশ গমনের বিষয়ে কিছু জানেন না শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা ও ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুস সালাম।তবে তারিকুল হোসাইন নামের (মমিন মহসিনের ঘনিষ্ঠ)এক ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আব্দুল মোমিনের ভারত যাওয়ার বিষয়টি জানা গেছে।স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়,উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিয়ন খামারকান্দি।নানা কাজ ও বিভিন্ন প্রয়োজনেই স্থানীয়দের চেয়ারম্যানের কাছে আসতে হয়।স্থানীয়রা জানায়,গত দুই থেকে তিন দিন ধরে তারা চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন পরিষদে পাচ্ছেন না।পরিষদের সচিবও বলতে পারছেন না চেয়ারম্যান কোথায়।এতে তাদের প্রয়োজনীয় কাজে বিঘ্ন ঘটছে।অনেকেই আবার সেবা না পেয়ে ফিরেও যাচ্ছেন।অবশ্য ওই ইউনিয়ন পরিষদে খোঁজ নিতে গেলে প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন জানান,চেয়ারম্যান মোমিন মহসিন বিদেশ যাওয়ার আগে তাকে রেজ্যুলেশন করে জানিয়ে গেছেন।তবে কবে এই রেজ্যুলেশন করা হয় তা বলতে পারেননি তিনি।কিন্তু ইউপি সচিব আব্দুস সালাম এমন কোনো চিঠি বা কাগজপত্র পাননি বলে জানান।তিনি বলেন,চেয়ারম্যান সাহেব অসুস্থ।উনি চিকিৎসা নেবেন এটুকু আমি জানি।ইউপি সচিব আরও বলেন,বিদেশে গেলে তো সরকারি অনুমতি লাগে স্থানীয় প্রশাসন থেকে।কিন্তু সেই অনুমতি কাগজপত্র আমার কাছে নেই।উনি(চেয়ারম্যান)যদি কাগজপত্র নিয়ে থাকেন,তাহলে তার কাছেই রেখে দিয়েছেন।শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন,অনুমতি ছাড়া তো বাইরে যাওয়ার কথা না।আচ্ছা আমি বিষয়টি দেখছি।বিনা ছুটিতে বিদেশগমনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বগুড়ার উপপরিচালক মাসুম আলী বেগ বলেন, সরকারি নিয়ম ভেঙে কোনো চেয়ারম্যান দেশের বাইরে যেতে পারেন না।আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিবো।ওনি (ইউনও) একটা প্রতিবেদন জমা দেবেন।তারপর আইনগত ব্যবস্থা নেবো।