লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলাতে ভোট কেন্দ্রে ভোটারকে পেটানোর ঘটনায় মামলায় হাসান মাহমুদ আপেল নামে এক ইউপিসদস্যকে(মেম্বার)কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।৮আগস্ট-২০২২ইং রোজ সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কমলনগর আমলী আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এই নির্দেশ দেয়।বাদীর আইনজীবী কামরুল হাসান রনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, হাসানসহ ১০জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।এতে আদালত হাসানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।অন্যদেরকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
হাসান মাহমুদ উপজেলার ৭নং হাজিরহাট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ও হাজিরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক।মামলার বাদী সজিব একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
আদালত সূত্র জানায়,২০২১ইং সালের ২১শে জুন হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।নির্বাচনে হাসান মাহমুদ আপেল সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।ভোটকেন্দ্রটিও তার বাড়ির সামনে ছিল।ভোট চলাকালীন একপর্যায়ে আপেল তার লোকজন নিয়ে ভোটারদেকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে কেন্দ্র দখল করে নেয়।পরে নিজের প্রতিকে ভোট কেটে নেয় তারা।এই সময় ভোট দিতে আসা সজিব হোসেনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।সজিব সদস্য প্রার্থী কবির হোসেনের লোক ছিলেন।এই ঘটনায় পরদিন সজিব বাদী হয়ে আপেলকে প্রধান করে ১৮জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কমলনগর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে(ওসি)মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত।পরে কমলনগর থানা পুলিশ তদন্ত শেষে ১০জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।এই দিকে সোমবার আদালতে মামলার শুনানি ছিল।এসময় আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আপেলের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।