রংপুরের আনন্দলোক ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের ফরম পূরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিক অর্থ আদায়ের প্রতিবাদি"অভিভাবকদের"সাংবাদিক সম্মেলন।
রংপুর মহানগর আনন্দলোক ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের ফরম পূরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অধিক অর্থ আদায়ের প্রতিবাদি "অভিভাবকরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এতে স্থানীয় সাবেক মেম্বার দুখু মিয়া ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং স্থানীয় জনগন সহ শিক্ষার্থীরা বলেন আনন্দলোক ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম আনন্দলোক মহাবিদ্যালয় এ যোগদান করেছিলেন অফিস সহকারী হিসেবে কিন্তু এখন তিনি অধ্যক্ষ। এছাড়াও তিনি রয়েছেন আরো তিনটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। নিজের মন মতো সাজানো কমিটির মাধ্যমে করে চলছে অন্যায়। খবির উদ্দিন তারই অবৈধ ভাবে সাজানো কমিটির সদস্য। তাতেও তিনি ক্ষান্ত হননি,অবৈধ কমিটির সদস্য খবির উদ্দিন সহ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক অতিরিক্ত ভর্তি ও ফরম পূরণের ফি আদায় করছে। লাখ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্য ও করেছেন তিনি। তাদের এ অন্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী আনন্দলোক মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
গত ১৬ অক্টোবর দুপুরে বুড়িরহাট আনন্দলোক মহাবিদ্যালয়ের গেইটের সামনে অভিভাবকদের উদ্যোগে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে অধ্যক্ষ ও খবির উদ্দিনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তারা। এসময় ভুক্তভোগী মতলেব মিয়ার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম দুখু বলেন, ঐতিহ্যবাহী আনন্দলোক মহাবিদ্যালয়ের সুনাম দিন দিন ক্ষুন্ন হচ্ছে। বর্তমান অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য খবির উদ্দিন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় ছাড়াও উন্নয়ন ফি এর কথা বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । এমনকি অভিভাবকদের অবগত না করেই নিজেদের মনগড়া লোকদের নিয়ে নির্বাচন ছাড়াই কমিটি করে লুটের রাজ্য তৈরি করেছেন এই অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম। সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত অনেক ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী আনারুল ইসলাম জানা, আমি এই স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অথচ আমাকে কমিটিতে রাখা হয় নাই। বর্তমান অধ্যক্ষ ও খবির উদ্দীন তার মনগড়া লোকজন নিয়ে কমিটি গঠন করে বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনেছে। অপর দিকে ভুক্তভোগী সাহেদা খাতুন সেমিনার সহকারী চাকুরীর জন্য দেড় লাখ দিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি এর নিকট। তিনি জানান, যোগদান করার কিছু দিন পর তাদের ব্যবহারে তিনি ফেরত এসেছেন। তার টাকা চাইতে গেলে তাকে নানা ভাবে কাল ক্ষেপণ করছে অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম ও সদস্য খবির উদ্দিন। আর এক নারী চাকুরীজীবি ফরিদা ইয়াসমিন জানান তিনি কম্পিউটার ডেমোনেষ্টর পদে ১১ ডিসেম্বর ১৩ ইং সালে যোগদান করি। কিছু দিন যাওয়ার পর বেতন ভাতা বন্ধ করে দেয় ম্যানেজিং কমিটি। আমার ৬ লাখ টাকা বকেয়া বেতন চেয়ে বার বার অভিযোগ করিলেও কোনো সমাধান পাইনি। এদিকে আব্দুল মোত্তালেবের মেয়ে আয়েশা খাতুন ও ল্যাবসহকারী সাইদুল জানান অধ্যক্ষ আর ম্যানেজিং কমিটির এহেন কার্যকলাপে এলাকাবাসী থেকে শিক্ষার্থী সকলেই বিব্রতবোধ করে আসছে। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ হচ্ছে নষ্ট অপর দিকে ঐতিহ্যবাহী আনন্দলোক মহাবিদ্যালয় হারাচ্ছে তার দীর্ঘদিনের সুনাম। তাদের এ সকল অবৈধ কাজের তীব্র নিন্দা জানায় এবং অবিলম্বে আনন্দলোক মহাবিদ্যালয়কে বাঁচানোর আহব্বান জানান ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে আনন্দলোক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার ও কলেজের বিরুদ্ধে যারা এ সমস্ত বিভ্রান্তকর কাজ করে যাচ্ছে তারা কেউ এই কলেজের সাথে সংশ্লিষ্ট না। এ কাজের জন্য তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
রিপোর্টারের নামঃ রবীন্দ্র সরকার রিপন