রিপোর্টারঃ মীর ইমরান–মাদারীপুর জেলা শিবচরে পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের উত্তর চররশ্যামাইল এলাকায় লন্ডন প্রবাসী কোহিনুর আকনের স্ত্রী ও ৮ মাসের শিশু পুত্র কে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করেন।লন্ডন প্রবাসী কোহিনুর আকনের স্ত্রী অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা যায়,পূর্বের শত্রুতার জের ধরে গত ২৯মে-২০২৩ই রাত ৯ টার সময় ঐ লন্ডন প্রবাসীর কোহিনুর আকনের বাড়িতে গোপনে প্রবেশ করে নূর মোহাম্মদসহ আরো পাঁচজন এর পরে প্রবাসীর স্ত্রী রাতের খাবার খেয়ে শিশু পুত্র সন্তানকে নিয়ে বিছানায় গেলে পূর্ব থেকে নূর মোহাম্মদসহ তার সহযোগীরা প্রবাসী কোহিনুর আকনের স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে থাকে।এর পর প্রবাসীর স্ত্রী ঘুমিয়ে পরলে,প্রবাসীর স্ত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে নূর মোহাম্মদ ,ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সহযোগীদের নিয়ে প্রবাসীর ঘরে ভাঙচুর করে। এর পর প্রবাসীর স্ত্রী ডাক চিৎকার করলে পালিয়ে যায় নূর মোহাম্মদসহ তার সহযোগীরা।পালানোর সময় প্রবাসীর কোহিনুর আকনের স্ত্রীসহ তার ৮মাসের শিশু পুত্রকে হত্যা, বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে বেরিয়ে যায় ঘর থেকে।প্রবাসী কোহিনুর আকনের স্ত্রী নিজের ইজ্জত রক্ষা করতে দস্তাদস্তি করে এসময় কোহিনুর আকনের স্ত্রীর শারীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে নূর মোহাম্মদ।এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়।
গত ৪জুন-২০২৩ইং ঐ লন্ডন প্রবাসীর কোহিনুর আকনের স্ত্রী মাদারীপুরের,নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ জাকির হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে একটি ধর্ষণের চেষ্টার অপরাধে অভিযোগ দায়ের করেন। বাদীর পক্ষে নিযুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবী মোঃ ওবাইদুর রহমান খানের মাধ্যমে।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন নুর মোহাম্মদ আকন,বারেক মাদবর,তোতা মাদবর,ইব্রাহিম ফরাজী,ইস্রাফিল ফরাজী ও হারুন ফরাজীসহ আরো কয়েকজন,২০০০ খ্রিষ্টাব্দের ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/(৪ )খ/৩০ ধারার অধীন দণ্ডনীয় অপরাধে অভিযোগে সংবলিত একটি দরখাস্ত দাখিল করেন।অভিযোগটি ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দিদের দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিকিউটর ১৫৪ ধারায় এজাহার দায়ের জন্য শিবচর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত।
কোটের নির্দেশ অনুযায়ী শিবচর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন মামলা রুজু করেন (১১জুন) শিবচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের দন্ডবিধি অনুযায়ী মামলা রেকর্ড করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে,শিবচর থানা,মামলা নং-২১,মামলা দায়েরের ৯দিন পেরিয়ে গেলেও আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে,এর পর প্রবাসী কোহিনুর আকনের স্ত্রী অভিযোগ করেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন এর আগেও একটি মামলার আসামিদের আটক করতে তালবাহানা করেছেন এখনো কোটের নির্দেশ মামলা হয়েছে কোন আসামিদের এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি শিবচর থানা পুলিশ।
এখন আমি আমার ৮ মাসের শিশু পুত্র সন্তান নিয়ে আমার স্বামীর বাড়িতে আতঙ্কে আছি।কোর্টের নির্দেশে শিবচর থানায় মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অভিযোগকারী সাংবাদিকদের কাছে,ঐ প্রবাসীর স্ত্রী আরো জানান আমি আতংকে আছি,আসামিরা দ্রুত গ্রেফতার না হলে আমার ও আমার শিশু পুত্র সন্তানের যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে,আমি চাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা আসামিদের গ্রেফতার করে দিষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে দেবে।