রিপোর্টারঃ আশিকুর রহমান শান্ত-ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের নারী সহ ৩জন আহত হয়েছে।রোববার ২ জুলাই-২০২৩ইং ভোর ৬ টার সময় ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মালেগো বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শারীরিক প্রতিবন্ধী ইব্রাহিম মাল(৩২)ও তার পরিবার তার বাবার মালিকানা জমিতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ করে তার বাবা মারা যায়। বাবা মারা যাওয়ার পর ইব্রাহিম এর বড় সৎ ভাই জাহাঙ্গীর মাল ও তার ছেলেরা মিলে ইব্রাহিম কে তার বসত ভিটি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য নানা ধরনের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।তারই অংশ হিসেবে ইব্রাহিমের চলাচল করা বাড়ির রাস্তায় ভোর বেলা সকাল ৬টার দিয়ে সূর্য ওঠার আগে জাহাঙ্গীর গংরা বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। জাহাঙ্গীর গংদের কাছে উক্ত রাস্তা বন্ধ করার বিষয় জানতে চাইলে তারা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে উৎপেতে থাকা জাহাঙ্গীর মাল(৫৫),রেহানা পারভীন ওরফে মিনু(৩৫), সোহাগ(২৬),বিল্লাল(২৭),সোহেল(২৪),ও ইয়ামিন(১৭) মিলে একত্রিত হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী ইব্রাহিমের উপর হামলা করে।হামলার সময় ইব্রাহিমের ডাক চিৎকার শুনে ঘটনা স্থলে ইব্রাহিমের স্ত্রী সাথী বেগম ও ভাই ফোরকান ছুটে আসে।কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই উৎপেতে থাকা জাহাঙ্গীর গংরা এলোপাতাড়ি সবাইকে মারধর করতে শুরু করে।মারধরের এক পর্যায়ে ফোরকান ও ইব্রাহিম গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।তারা ভোলা ২৫০ শষ্যা জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৩৫ ও ৩৮ নাম্বার বেটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আহত ইব্রাহিম বলেন,আমার সৎ বড় ভাই জাহাঙ্গীর ও তার ছেলেরা মিলে পালায় পালায় আমার উপর এরকম নেক্কার হামলা করে।আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন অসহায় মানুষ।আমি আপনাদের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।তিনি আরো বলেন,এটি যদি তাদের জমি হয় তারা কাগজপত্র দেখিয়ে জমি নিয়ে যাক।কিন্তু তারা কাগজপত্র দেখাতে পারে না,গায়ের জোরে প্রতিনিয়ত আমাদের উপর হামলা ও মামলা চালায়।আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।যারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায়নে কঠিন শাস্তির দাবি করছি।
আহত ফোরকান বলেন,আমি ঢাকা থাকি,ঈদের ছুটিতে আমি বাড়ি এসেছি।ঈদ পরবর্তী সময়ে আমার সৎ ভাই হঠাৎ করে আমাদের সাথে কোন ধরনের কোন কথা ছাড়া ভোর ৬ টার সময় বাড়ির রাস্তায় বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।এ বিষয়ে আমার ভাই ইব্রাহিম তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে খেপে গিয়ে সে তার বৌ এবং ছেলেরা মিলে ইব্রাহিম কে মারধর করে।আমি চিৎকার শুনে সেখানে গেলে তারা আমার উপর হামলা করে আমাকে গুরুতর জখম করে।
আহত সাথী বেগম বলেন,জাহাঙ্গীর গংরা সবাই মিলে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করার জন্য ওত পেতে ছিলো।সামান্য কথা জিজ্ঞেস করাকে কেন্দ্র করে এরা সকলে দলবল নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।হামলা চালিয়ে আমাদের কে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।অভিযোগের বিষয় অভিযুক্তদের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ও তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন ফকির বলেন,এবিষয়ে এখন আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।