রিপোর্টারঃ আশিকুর রহমান শান্ত,ভোলা জেলা প্রতিনিধি–আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন আরও ২২ হাজার ১০১টি পরিবারে মাঝে ভূমিসহ সেমিপাকা ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার ৯ আগস্ট-২০২৩ইং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে ১০টা ৩০ মিনিটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে,সারাদেশে এই গৃহ প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত থেকে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর মধ্যে ভূমি সহ সেমিপাকা ঘর বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি উপকারভোগীদের মাঝে এই গৃহ বুঝিয়ে দেন ও তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী এরমধ্যে দিয়ে আরও ১২টি জেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেন।এ নিয়ে গৃহ ও ভূমিহীন মুক্ত জেলার সংখ্যা দাড়ালো ২১টি ও উপজেলার সংখ্যা দাড়ালো ৩৩৪টি তে।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন,প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ধারাবাহিক কার্যক্রমে মুজিববর্ষ থেকে এ র্পযন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ পরিবার পেয়েছে ঘর।বুধবার আরও ২২ হাজার ১০১ পরিবারের হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমির দলিল তুলে দেন।
“বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা’- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল জেলার ন্যায় ভোলা জেলায়ও ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বুধবার(৯ আগস্ট)আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে ভোলা জেলায় বরাদ্দ প্রাপ্ত ৯১৩ টি ঘর আনুষ্ঠানিক ভাবে উপকারভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ভোলা জেলার ৭টি উপজেলাই এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থাকে। উপজেলা প্রান্তে স্থানীয় প্রশাসন ও উপকারভোগী ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সুশীলসমাজ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান দৌলতখান উপজেলায় অনুষ্ঠিত গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন,বৈরী প্রাকৃতিক পরিবেশ, নদীবেষ্টিত দ্বীপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা ইত্যাদি প্রতিকূলতা জয় করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীন মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন পূর্বক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে জেলা প্রশাসন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য ৪র্থ পর্যায়ের ২য় ধাপে ভোলা জেলার দৌলতখানে ২০০টি, বোরহানউদ্দিনে ৫১টি, তজুমদ্দিনে ১৩৭টি, লালমোহনে ২৭০টি, চরফ্যাশনে ১০০টি এবং মনপুরায় ১৫৫টি, সর্বমোট ৯১৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় এবং ৪র্থ পর্যায়ের ১ম ধাপে মোট ৩৫৩৬ টি ঘর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। উপকারভোগী বাছাই এর ক্ষেত্রে নদী ভাঙন কবলিত, বিধবা, প্রতিবন্ধী, তৃতীয় লিঙ্গ, ছিন্নমূল, বেদেসহ সমাজের সকল পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় আনা হয়েছে।উল্লেখ্য যে,ভোলা সদর উপজেলাকে ২২ মার্চ ২০২৩ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, ২০ জুন, ২০২১-এ দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং মুজিববর্ষের সময় তৃতীয় পর্যায়ে দুই ধাপে মোট ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের মধ্য দিয়ে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে সুবিধাভোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ২,৩৮,৮৫১।