রিপোর্টারঃ আশিকুর রহমান শান্ত-আষাঢ় শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষা ঋতু।এই দুই মাস বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্তমান বাংলাদেশে বেশ কয়েক বছর যাবত আষাঢ় মাসে তেমন একটা বৃষ্টি হয় না। এ বছর ও তার ব্যতিক্রম হয়নি।বরং এই বছর আষার মাসে প্রচন্ড গরম ও রৌদ্রের তাপ পড়েছে।আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণ মাস শেষ হওয়ার পথে।শ্রাবণ মাসের শুরুর দিকে হালকা চিরিচিরি বৃষ্টি হলেও উল্লেখযোগ্য হারে যে পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল সে পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি। শ্রাবণ মাসের শুরুতে তেমন একটা বৃষ্টি না হলেও শেষ দিকে একটানা বৃষ্টি মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বর্ষায় ঘর থেকে বের হওয়া ও বাইরে জরুরী কোন কাজে বের হতে হলে মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছাতা।ছাতা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পন্য যা শুধুবর্ষা ঋতুতেই নয় সারা বছরেই মানুষ এটি ব্যবহার করে থাকেন নিজের প্রয়োজনে।এই ছাতা ব্যবহার করার পর যখন ভাঙে বা নষ্ট হয় তখনই মেরামতের জন্য প্রয়োজন ছাতার কারিগরদের।
জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম সহ বিভিন্ন উপজেলা শহর থেকে ছাতার কারিগররা এই জেলা শহরে এসে ছাতা মেরামত এর কাজ করছে।তারা জেলা শহরে থেকে এ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।একটা সময় রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে তারা ছাতা মেরামত করতেন।আস্তে আস্তে তারা তাদের বসার স্থান স্থায়ীভাবে গড়ে তুলেন।ভোলা সদর রোড, কালীনাথ রায়ের বাজার,নতুন বাজার ও যোগির ঘোলে আগ থেকেই ছাতার বেশ কয়েকজন কারিগর আছে।যাদের কাছে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাতা মেরামত করতে আসতেন গ্রাহকরা।সারা বছর ছাতার কারিগরদের কদর না থাকলেও বর্ষায় তাদের চাঁহিদা থাকে বেশ।বর্ষা এলেই বাড়ে তাদের কদর।গত এক সপ্তাহে টানা বৃষ্টির কারণে ভোলা জেলায় ছাতা কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন।শুক্রবার বিকালে নতুন বাজারের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট এর পাশেই ছাতা মেরামতে ব্যস্ত ছিলেন কান্তি দাস (৫৪)দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তিনি ছাতা মেরামতের সাথে যুক্ত। কাজের ফাঁকে তার কাজের কি অবস্থা জানতে চাইলে তিনি জানান,এখন বৃষ্টির কারণে কাজের একটু চাপ বেশি।বৃষ্টির সময় ছাতা মেরামতের কাজ বেশি হয়।তবে অন্য সময় তেমন একটা কাজ থাকে না।বরিশাল দালানের সামনে সদর রোড়ে বসা ছাতা কারিগর পরিতাস কুমার(৩৭) বলেন,এখন কিছুকাজ আছে।তবে অন্য সময় বসেই থাকতে হয়।যুগির ঘোল এলাকার আরেক ছাতা কারিগর আমান উল্লাহ(৫২)বলেন,বৃষ্টি হলে ছাতা মেরামতের মোটামুটি কাজকর্ম হয়।তবে বছরের অন্য দিন গুলোতে সেরকম কাজ হয় না।সকল ছাতার কারিগরদের দাবী আমরা রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে কাজ করি।আমাদের নির্দিষ্ট কোন স্থান নেই।ভোলা পৌরসভা থেকে আমাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে দিলে আমাদের জন্য ভালো হতো।