বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নে কাজীবাছা নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে দীর্ঘ প্রায় অর্ধ শত বছরের প্রচীন ঐতিহ্য জলমা -কচুবুনিয় মহা শশ্মানে জায়গা জোরপূর্বক অবৈধ দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে একটি কুচক্রী মহল।এব্যাপারে এলাকাবাসী থানা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষরীত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জলমা ইউনিয়নের কচুবনিয়া গ্ৰামের গৌর পদ রায়,পুত্র বিশ্বজিৎ রায় ও কন্যা বন্ধনা রায় মিলে দীর্ঘদিন ধরে শশ্মানের ভোগদখলীয় সরকারি ওয়আবদআ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে তৎকালীন শশ্মান কমিটি ও এলাকাবাসী যৌথভাবে থানায় এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান বরাবর গণস্বাক্ষরীত অভিযোগ দাখিল করলে ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান চঞ্চলা মন্ডল,ইউপি সদস্য ও সাবেক শশ্মান কমিটির সভাপতি বিপ্রদাস টিকাদার কার্তিক ও ইউপি সদস্যা তপতী রাণী বিশ্বাসসহ গণ্যমাম্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে কমিটি ও এলাকাবাসীর পক্ষে রায় ঘোষণা করে ঘর নির্মাণ পূর্বক অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।ঘর নির্মাণ কিছু দিনের জন্য বন্ধ থাকলেও বিগত কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে নতুন কমিটি গঠনের পর থেকে পুনরায় দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছিল।তারই ধারাবাহিকতায় দখলদারা নতুন কৌশল অবলম্বন করে বর্তমান কমিটির কিছু নেতাদের মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে বর্তমান কমিটির সভাপতি ও জলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিধান রায়'র বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার অজান্তে সভাপতির নাম ভাঙিয়ে গৌর,পুত্র বিশ্বজিৎ ও কন্যা বন্ধনা গত শুক্রবার অন্য স্থানে ঘর নির্মাণ করে শশ্মানের ভোগদখলীয় সরকারি ওয়াবদার জায়গা পুনরায় দখল নেয়ার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।গত শুক্রবার থেকে এলাকাবাসী দফায় দফায় থানা পুলিশকে অবহিত করে পুলিশের হস্তক্ষেপে সাময়িক ভাবে বন্ধ করে গতকাল শনিবার পুনরায় দখল করতে গেলে এলাকাবাসী ওই দিনই সকালে থানায় গণস্বাক্ষরীত লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিবাদীদের ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।এজন্য এলাকাবাসী বটিয়াঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ শওকত কবির ও ওসি তদন্ত মোঃ জাহেদুল ইসলামকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে।এব্যাপারে এলাকাবাসী শশ্মান কমিটির সাধারণ সম্পাদক রমেশ মল্লিককে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিয়ে অবগত করলেও তিনি নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।এতে করে কমিটির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন উঠেছে।এব্যাপারে এলাকাবাসী ঘর নির্মাণ বন্ধ করে শশ্মানের ভোগদখলীয় জায়গা দখল বন্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সরকারি ওয়াবদাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।