বগুড়ায় প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে ডেকে নিয়ে দুই অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে মন্ত্রনালয়ে সংযুক্ত করলেও প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।এঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের(ভিএম)স্কুলের সামনে গিয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করেন।এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ফেরৎ পাঠিয়ে দেন।বগুড়ার জেলা প্রশাসক(ডিসি)এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যন্ত সকলের কাছে সময় চান। প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত তিনি সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।বিদ্যালয়ে ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে বগুড়ার এক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে তার সহপাঠীদের ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছিল।এঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রধান বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি)নিলুফা ইয়াসমিন বলেন,গত বৃহস্পতিবার কমিটি গঠন সংক্রান্ত চিঠি তিনি পেয়েছেন।কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হযরত আলী ও বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন।এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো.সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,ঘটনার দিনই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে(শিক্ষা ও আইসিটি) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটি তাদের তদন্ত কাজ শুরুও করেছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিবেন।এই সময় পর্যন্ত আমি সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।