বগুড়ার ধুনট উপজেলার সাগাটিয়া গ্রামে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক নারীর অবৈধভাবে গর্ভপাতের পর পলিথিনে মুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার ২৪ এপ্রিল-২০২৩ইং দুপুরে উদ্ধার হওয়া ভ্রূণ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের কেএম আবুল ফজলের ছেলে ফরহাদ হোসেন পল্লী চিকিৎসক ফরহা হোসেন(৫৫) ও পার্শ্ববর্তী হিজুলী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে আসাদুল শেখ(৪০)স্থানীয়রা জানান,প্রায় ২২বছর আগে সাগাটিয়া গ্রামের এক দিনমজুরের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ের(৩৫)পাশের গ্রামে বিয়ে হয়। পরে তার গর্ভে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর পর ভুক্তভোগী নারীকে ছেড়ে স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।ভুক্তভোগীর মেয়ে ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করে।ফলে ভুক্তভোগী সাগাটিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে একাই বসবাস করেন। এ অবস্থায় আসাদুল ছয় মাস আগে ভুক্তভোগী নারীকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ করে।এরপর থেকে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কে ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।তখন পল্লী চিকিৎসক ফরহাদের চিকিৎসায় গত ২১ এপ্রিল সকালে ভুক্তভোগীকে তার নিজ বাড়িতে গর্ভপাত করানো হয়।এ সময় ভ্রূণ বাড়ির পাশে ঘাসের জমিতে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন আসাদুল।এদিকে ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানির এক পর্যায়ে গত রোববার রাতে পুলিশ খবর পেয়ে ঘাসের জমি থেকে ভ্রূণ উদ্ধার করে।এ সময় পল্লী চিকিৎসক ফরহাদকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সোমবার ২৪ এপ্রিল সকালে আসাদুল ও ফরহাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)রবিউল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ফরহাদ হোসেন ও প্রধান আসামি আসাদুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।নবজাতকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।