বগুড়া থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে গাইবান্ধায় বিক্রি করা একটি চোর চক্রের সন্ধান পেয়েছে বগুড়া সদর থানা পুলিশ। চোর চক্রের প্রধান আসামী চাকুরিচ্যুত সেনা সদস্যসহ চারজনকে গ্রেফতার ও ২ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে-৩০শে এপ্রিল-২০২৩ইং রবিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়।এর আগে ভোরে বগুড়া সদর ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদরে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী গ্রামের শাহীন মন্ডলের ছেলে চাকুরিচ্যুত সেনা সদস্য শাকিল মিয়া (২৩), গোলাম রব্বানীর ছেলে বাঁধন মিয়া (২২), সোনাতলা উপজেলার গনিয়ানকান্দি গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে সফিক হাসান (২১) ও গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের গজিয়াপাড়ার মাহাবুলের ছেলে মেহেদি হাসান (২৫)।পুলিশ জানান, বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চক্রটি মোটরসাইকেল চুরি করে।শাকিল,সফিক ও বাঁধন মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। একটি মোটরসাইকেল চুরি করতে তারা তিনজন মাঠে থাকে। একজনের কাজ হচ্ছে মোটরসাইকেল মালিকের গতিবিধি লক্ষ্য করা,অন্যজন মোটরসাইকেলটি কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করে। এইসুযোগে আরেকজন মাত্র ১মিনিটের মধ্যে মাস্টার চাবি দিয়ে লক ভেঙে মোটরসাইকেল চালু করে।মোটরসাইকেল নিয়ে তারা সরাসরি গাইবান্ধা জেলার মেহেদি হাসানের কাছে বিক্রি করে দেন। গোপন তথ্যে ও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে মোটরসাইকেল চোর চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই)রুম্মান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে রবিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার গোকুল এলাকা থেকে শাকিল, সফিক ও বাঁধনকে গ্রেফতার করা হয়।এসময় তাদের কাছ থেকে বাজাজ কোম্পানীর পালসার একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।পরে তাদের দেওয়া তথ্যে মতে গোবিন্দগঞ্জ থেকে মেহেদিকে আরও একটি চোরাই মোটরসাকেলসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।