রিপোর্টারঃ এম এ শাহিন,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি-বগুড়া নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই)মিথুন চক্রবর্তীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্তে জন্য জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ)আব্দুর রশিদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।সোমবার ১৪ আগস্ট-২০২৩ইং বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ)আব্দুর রশিদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।জানা গেছে,গত সাত মাস আগে জেলার শেরপুর থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) হিসেবে যোগদান করেন মিথুন চক্রবর্তী।এরই মধ্যে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িমুকুন্দ গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে তার সাবেক স্বামীর টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ বাধে।একপর্যায়ে জাতীয় পরিসেবা ৯৯৯-এ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এসআই মিথুন চক্রবর্তী। সেখানে তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়।সম্পর্ক চলাকালীন নিজের পরিচয় গোপন করে বিয়ের প্রলোভনে ওই তরুণীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন মিথুন।কিন্তু পরবর্তীতে ওই পুলিশ কর্মকর্তার ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন ভুক্তভোগী তরুণী।বিগত ২২ জুলাই ঘটনাটি জানিয়ে জেলার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় গত ৯ আগস্ট এসআই মিথুন চক্রবর্তীকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা জানান,মিথুন চক্রবর্তী ছয় থেকে সাত মাস আগে শেরপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।কিন্তু চলতি মাসের ১ আগস্ট এই থানা থেকে তাকে আদমদীঘি থানায় বদলি করা হয়েছে।এছাড়া মিথুন চক্রবর্তীর নামে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে এক তরুণীর অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানান তিনি।
এদিকে আদমদীঘি থানার ওসি রেজাউল করিমের কাছে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন,চলতি মাসের ৮ আগস্ট এসআই মিথুন চক্রবর্তী আদমদীঘি থানায় যোগদান করেন।পরদিন ৯ আগস্ট জেলার পুলিশ সুপারের স্বাক্ষরিত তাকে সাময়িক বরখাস্তের এক আদেশ থানায় পৌঁছালে তাকে থানা থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।বর্তমানে তিনি বগুড়া পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত রয়েছেন।তবে অভিযুক্ত পুলিশের এসআই মিথুন চক্রবর্তীর দাবি করেন, অভিযোগকারী তরুণীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল।অবশ্য সেই বিষয়টি আপস-মীমাংসা হয়ে গেছে। এরপরও বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ)আব্দুর রশিদ অভিযোগ তদন্তের বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন,পুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই)মিথুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত শেষে পুলিশ সুপারের দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।