স্টাফ রিপোর্টারঃ-প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ঈদ অনেক আনন্দের।সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে বছরে দুইবার।একটি হলো ঈদুল ফিতর এবং অপরটি ঈদুল আযহা।ঈদুল ফিতরের ঈদ উদযাপন কখন হয় এটা তো আমরা প্রায় সবাই জানি রোজার মধ্যে।রোজার শেষে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়।ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়ে যাওয়ার দুই এক মাস পরেই চলে আসে ঈদুল আযহা।এই ঈদকে ঘিরে মুসলমানদের মধ্যে অনেক আনন্দ থাকে।এই ঈদের মধ্যে সবাই পশু কোরবানি দেয়।ঈদুল আযহা পশু কোরবানি দেওয়া হয় আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য।আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ঈদুল আযহা নিয়ে উক্তি অনুসন্ধান করেন।তাই আজকের এই পোস্টে জানাবো ঈদুল আযহা নিয়ে কিছু উক্তি।
ঈদুল আযহার মধ্যে সবাইকে যে কোরবানি দিতে হবে সেটা কিন্তু নয়।যার সামর্থ্য রয়েছে তাকে কোরবানি দিতেই হবে। আর যে সকল মানুষের সামর্থ্য নেই সে কোরবানি না দিলেও আল্লাহতায়ালা তার ওপর রাগ করবেন না।আর যাদের সামর্থ্য রয়েছে তাদের সবাইকে আল্লাহতাআলার জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন একটা পশু কোরবানি দিতে হবে।শুধু পশু কোরবানি দিলেই হবে না।নিজের মনকে শুদ্ধ এবং আল্লাহর মনকে খুশি করার জন্য দিতে হবে।বর্তমান সমাজে অনেকেই রয়েছেন লোক দেখানোর জন্য কোরবানি দিয়ে থাকেন।কোন মুসলিমেরই এটা করা উচিত নয়।কেননা আমরা কোরবানি দেই আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য।এই পৃথিবীর মানুষদের দেখানোর জন্য নয়।
ঈদুল আজহা নিয়ে উক্তি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জমে উঠেছে গরু বাজার।কয়েক মিনিটের ঈদ!দুই রাকাত নামাজ পড়লেই হয়ে গেল ঈদ।তাই আকাশে চাঁদ ওঠার খবর।নামাজের দৃশ্য ও বাচ্চাদের কোলাকুলির ছবি ও ভিডিও দেখিয়েই ক্ষান্ত থাকতে হয় গণমাধ্যমকে।মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসব ঈদের দিনটি অশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমায় অনন্য।ঈদ উৎসব বাঙালি মুসলিমদের জীবন-আলেখ্য।বাঙালি মুসলমানের কাছে ঈদের নানামুখী তাৎপর্য রয়েছে।ঈদ উৎসব বাঙালির এক বৃহৎ অংশের সাংস্কৃতিক জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া একটি শক্তিশালী ফল্গুধারা।ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ এবং ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ।
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের ঈদ আনন্দ তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতিতেই জড়িয়ে আছে।মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবগুলি নামাজ কেন্দ্রিক ও আধ্যাত্মিক মার্গের দিকে উৎসর্গীকৃত।
আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ভিত্তিহীন কথা,একজন মুসলমান হিসেবে কখনোই আমরা এটা মানতে পারি না। ইসলামের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আপনার গৃহ পালিত পশুর যত্ন নিন।
আল্লাহর প্রতি আপনার বিশ্বাস এবং ভালবাসা আজ এবং সর্বদা শান্তি,সুখ এবং সাফল্যের সাথে পুরস্কৃত হোক।আপনাকে একটি আনন্দময় ঈদ উল আযহা শুভেচ্ছা!
ঈদের আনন্দ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ঘিরে রাখেন।ঈদুল আযহা মোবারক আল্লাহ আমাদের উপর রাহমত বর্ষণ করুন এবং আমাদের দোয়া কবুল করেন।আপনাকে ঈদুল আযহা মোবারক আপনার সুখ এবং স্বাস্থ্যের সাথে একটি নিরাপদ এবং রহমতের সাথে ঈদ-উল-আযহা কামনা করছি! ঈদ মোবারক আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে একটি শান্তিময় এবং সমৃদ্ধ জীবন দান করেন।ঈদ-উল-আযহা মোবারক আপনাদের সবাইকে ঈদ মোবারক!আল্লাহ আপনাকে এবং আমাদের পরিবারকে তার স্বর্গীয় রহমতের নজর দ্বারা অনুগ্রহ করেন।
শুভ ঈদুল আযহা!এই পবিত্র দিনটি পালনের সাথে আপনার হৃদয় আলোকিত হোক!ঈদ-উল-আযহা মোবারক!এই দিনটির জন্য আপনার আত্মায় শান্তি,সমৃদ্ধি এবং ভক্তি আনতে কামনা করছি!এই ঈদ উল আযহায় স্বর্গ থেকে অনন্ত শান্তি আপনার জীবনকে আলিঙ্গন করেন এবং অগণিত রহমত পূর্ণ করেন।ঈদ মোবারক!ঈদ-উল আযহাকে বরণ করাতে রয়েছে পার্থক্য বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি মুসলিম,৬১০ সালে ইসলামের নবী মুহম্মদ(সা.)এর নবুয়্যত প্রাপ্তির মধ্যদিয়ে যে আদর্শ জন্মলাভ করে,আজ তা বিস্তৃত পৃথিবীর প্রত্যেকটি কোণে।শুধু আলাদা বিশ্বাস ব্যবস্থা না,ইসলাম নিয়ে এসেছিল স্বতন্ত্র সংস্কৃতি,জীবনবোধ এবং ভাবধারা। আচার আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি তাই দিয়েছে উৎসবের ধারণাও।মুসলিম জাতির বৃহত্তম উৎসবের দিন হিসাবে গণ্য করা হয় ঈদ-উল আযহাকে।কুরবানির ঈদ বা পল্লীবাংলায় বড় ঈদ নামে পরিচিত ঈদ-উল আযহা। পালিত হয় হিজরি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ।
মুসলিম জাতির পথিকৃৎ ইব্রাহিম(আ.)মহান আল্লাহর কাছে নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করার মধ্যদিয়ে আদর্শ স্থাপন করেছেন।উদ্ধত হয়েছিলেন নিজের পুত্রকে কুরবানি করতে।মুসলিম জাতি মূলত সেদিনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা হিসাবেই পালন করে এই দিন।গ্রহণ করে নিজেদের মতো করে উৎসাহ আর উদ্দীপনা নিয়ে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদ-উল আযহাকে বরণ করাতেও রয়েছে পার্থক্য।কিছুটা স্থানীয় সংস্কৃতির প্রভাব আর কিছুটা সময়ের বিবর্তন।নানান দেশের প্রেক্ষাপটে ঈদ-উল আযহাকে কিভাবে উদযাপন করা হয় তা জানার বিষয় রয়েছে।সকলকে আসছে আগামীকাল ২৮জুন-২০২৩ইং রোজ বুধবার পবিত্র ঈদ-উল-আযহা।পুরাতন দিনের গিলানী ভুলে যেয়ে নতুন দিনের সুপথ গমন করতে হবে এটাই সকলের নিকট প্রত্যাশা।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে-ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-ডা.মোঃ এনামুল হক | নড়াইল জেলা