আশিকুর রহমান শান্ত-ভোলা প্রতিনিধি।
ভোলা সদর উপজেলায় পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্ত্রী সাদিয়া বেগম (২৩) কে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ভোলা জজ কোর্টের কম্পিউটার অপারেটর হাসেমের (৪৫) এর বিরুদ্ধে । আহত অবস্থায় স্ত্রী সাদিয়াকে উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতেল ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে ৬৫ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর-২০২২) দুপুর ৩টার দিকে শহরের কালীবাড়ি রোড়স্ত বিল্লাহ মসজিদের কাছে ইউসুফ মাষ্টার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ আমির খসরুর ছেলে হাশেম এর সাথে বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া আক্তারের সাথে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৩ তারিখে পারিবারিক ভাবে বিয়ে সম্পূর্ণ হয়। তাদের এই বিয়ের আগে থেকেই হাশেমের বড় ভাই কাশেমের
স্ত্রী নাজমা সাথে তার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো, যা তার বিয়ের পর স্ত্রী সাদিয়ার কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে। যা নিয়ে পারিবারিক কোলাহল সৃষ্টি হয়। তারই সূত্র ধরে নানা সময় হাশেম তার স্ত্রীকে মারধর করত, স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।
আহত সাদিয়া বেগম বলেন, আজকে দুপুরে আমার স্বামী হাসেম তার পরকীয়া প্রেমিকা (ভাবি) নাজমার সাথে মুঠোফোনে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলার সময় আমি তাকে বাধা প্রদান করলে আমাকে এলো পাতারি পিটিয়ে যখম করে এবং আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পেটে লাথি মারে। আমার ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। তারা পরিস্থিতি দেখে আমার বাবা এবং মামাকে খবর দিলে তারা সেখানে আসে। হাশেম তার ছোট ভাই ইব্রাহীমকে ডেকে এনে আমার বাবা এবং মামাকে এলোপাতারি মারতে থাকে, পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাশেমের মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির জানান, এ বিষয়ে হাশেম এর পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মিজানুর রহমান ও আরিফ হোসেন নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাদিয়া বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোলা সদর মডেল থানায় তাদের একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।