সোহানা পারভীন জনি-স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল।
নড়াইল জেলা কালিয়া উপজেলার ৪নং মাউলী ইউনিয়নের মহাজন বাজারে মিছিলের ভিতর পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগ পাওয়া গেছে চান্দেরচর গ্রামের মৃত আঃ ছত্তার শেখের ছেলে ফারুক শেখ, ইউসুফ শেখের ছেলে মোঃ রফিকুল শেখ,মোঃ মানিক খাঁর ছেলে মোঃ মন্টু খাঁর বিরুদ্ধে।অজ্ঞাত আসামীর তালিকায় নাম ঢোকানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজী চলছে বলে জানা যায়।ফারুক শেখ প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতে চাইতেছে না অনেকেই। ৪ই আগষ্ট-২০২২ইং রোজ বৃহস্পতিবার ৪নং মাউলি ইউনিয়নে অনুসন্ধানে গেলে বেরিয়ে আসে এ সব চাঞ্চল্যকর তথ্য।দালালদের উৎপাতে এলাকা ছেড়েছেন অনেকে। সাধারণ জনগনসহ ব্যবসায়ী ও প্রবাসী অনেকেই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীকে কটুক্তির প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ২শতাধিক লোককে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা হয়।এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু মহল পুলিশের সাথে আঘাত করে নিঃশ্ব করছেন এলাকার নিরুহ মানুষদের।পরবর্তী বিপদের আশংকায় ভয়ে মুখ খুলছেন না অনেকেই।অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়া বা অধিক হওয়ায় বিষয়টি প্রশাসনের গোচরে আসে এবং পুলিশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করায় দালাল চক্রের মূল হোতা ফারুক শেখকে হুশিয়ার করে দিয়েছে।এছাড়া স্থানীয় সচেতন গ্রামবাসীরা মিটিং করে দালালের ক্ষপ্পরে পড়ে কোন অর্থ না দেওয়ার অভয় দেওয়ায় উৎপাত কমেছে বলে জানা যায়। মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে মিছিলে হাজির না হয়েও হয়রানির শিকার হয়েছে সদ্য বাড়ীতে আসা প্রবাসীসহ অনেকে।এছাড়া ফারুক শেখ স্থানীয় চান্দেরচর বাজারের সভাপতি ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে চান্দেরচর হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানান। তেলিডাঙ্গা গ্রামের হাফেজ হামিদ খাকির বাবা শাহাদাৎ খাকি জানান,তাদের বাড়ীতে পুলিশ এসে হামিদকে না পেয়ে থানায় যেতে বলেন।পরেরদিন হামিদ কালিয়ার বিষ্ণুপুর থেকে তার শশুরকে নিয়ে নড়াগাতী থানায় গিয়ে নাম কাটিয়ে আসে।
জানা গেছে হামিদ ওইদিন মিছিলে ছিল না।কাঠাদুরা গ্রামের হিলু মোল্যার ছেলে ও মহাজন বাজারের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাফিজুর জানান,ওই মিছিলের দিন আমি ছিলাম না। পুলিশকে হামলার পরেও আমি নিয়মিত দোকানে আসতাম।তবে ফারুকের উৎপাতে এখন পুলিশি হয়রানীতে আমি দোকান খুলতে পারছিনা ভয়ে।পরিবার নিয়ে খুব বিপাকে আছি।চান্দেরচর গ্রামের নিলু শেখের ছেলে প্রবাসী মোঃ শরিফুল,মোঃ আশরাফুল শেখ,মোঃ রিয়াজ মোল্যা হয়রানির শিকার হয়েছেন।এছাড়া ওই গ্রামের মোঃ আব্দুল্লাহ শেখের ছেলে মোঃ রহমত শেখ,মোঃ আলী হক শেখের ছেলে মোঃ রবিউল শেখের নিকট দালাল ফারুক শেখ ভয় দেখিয়ে টাকা চাইতেছেন কিন্তু এখনও টাকা দেয়নি বলে জানা যায়। দালাল ফারুক শেখ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এ ধরনের কর্মকান্ডে সে জড়িত নেই।
এলাকায় দলাদলি থাকার কারনে প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে বলতে পারে। এছাড়া তিনি চেকের ২/৩টি মামলায় জড়িত থাকায় পুশিলদের অবহিত করেন বলে জানান। নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা বলেন, দালালের খপ্পরে হয়রানি হওয়া কোন ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।