নড়াইলে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে রাস্তা কার্পেটিং এর পাথরের খোয়া,পিজসহ অন্যান্য নির্মান সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি রাখা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের পেড়লী গ্রামের পিবিএম মাধ্যমিক ও পিবিএম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে।
পিবিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের(নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)অভিযোগের ভিত্তিতে সরোজমিনে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।এ ব্যাপারে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামসেদ হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন কে বা কারা রাতের অন্ধকারে রেখে গেছেন,আমি জানিনা।সকালে বিদ্যালয়ে এসে দেখি এসব রাস্তা নির্মাণ সামগ্রী মাঠের ভিতর।
নাইট গার্ড জামির হোসেনের কাছে জানতে পারি পেড়লী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আমজাদ হোসেন সাথে এসে এসব রেখে গেছেন।সাথে সাথে আমি আমার সভাপতি মহোদয়কে মুঠোফোনে জানিয়েছি।
নাইট গার্ড জামির হোসেন বলেন ১২নভেম্বর-২০২২ইং রোজ শনিবার দিবাগত রাতে এসব মালামাল নামে।আমি বাঁধা দিলে জোরবল ও ক্ষমতা দেখিয়ে এসব মালামাল রেখে চলে যায়।
প্রধান শিক্ষক আসা মাত্র আমি সব খুলে বলেছি।এ নিয়ে সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,প্রধান শিক্ষক ফোনে আমাকে জানিয়েছেন।বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি।নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার এমন কাজ করেছেন।তিনি আরো বলেন,এসব মালামাল এখানে রাখতে দেওয়া হবে না।যদি রাখার জন্য চেষ্টা করা হয় তবে উপরমহলে জানিয়ে সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।এসেম্বলি, খেলাধুলাসহ যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে।এ মাঠে পিজ গালালে বিদ্যালয়ের পরিবেশের ভারসাম্য নস্ট হবে।কোমল মতি ছাত্র ছাত্রীদের শাস্ব প্রশাস্বে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি দুজনেই একই কথা বলেন।এসব না সরালে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়,তাদের চলাচলসহ খেলাধুলা করতে সমস্যা হয়।আমাদের এই সমস্যা যেন সমাধানের জন্য সবাই চেষ্টা করে।
অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।কিভাবে উপর মহলের লিখিত অনুমতি ছাড়া এসব মালামাল রাখা হল।এব্যাপারে ঠিকাদার অ্যাড.হাফিজুর রহমানের সাথে অনেক চেষ্টা করে দেখা করা সম্ভব হয়নি।এলাকবাসিসহ অভিভাবক মহলের একটাই দাবি বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে এসব মালামাল অন্যাত্র সরিয়ে দিতে হবে।এলাকাবাসি প্রসাসনের সুনজর কামনা করছেন।