গত কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপদাহে পুড়ছে নড়াইলের মানুষ।তাপমাত্রা ৪০থেকে ৪১ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠানামা করছে।সূর্যের প্রখর তাপে ব্যহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন। চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।সরেজমিন দেখা যায়,রোদের তাপের কারণে প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা কেউ বের হচ্ছে না।অনেকেই রোদ থেকে বাঁচতে ব্যবহার করছেন ছাতা।তবে দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বেকায়দায়।তীব্র গরমে যেখানে দম নেয়া কষ্ট সেখানে তাদের দৈনন্দিন কাজ করে যেতে হচ্ছে।এদিকে তাপদাহের কারণে নড়াইল সদর হাসপাতালে বেড়েছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।তীব্র গরম নিয়ে সদর উপজেলার রাজু শেখ বলেন,গত কয়েকদিন ধরে যে তাপদাহ চলছে তাতে মানুষের খুবই কষ্ট হচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হতে ভয় হচ্ছে।রাস্তায় গেলে উত্তপ্ত পিজের তাপ চোখেমুখে লাগলে মনে হচ্ছে যেন মুখ পুড়ে যাচ্ছে।অনেকেই বারবার মুখচোখ ভেজাচ্ছেন। বাড়ির শিশুদের নিয়েও ভয়ে থাকতে হচ্ছে।এই গরমে তাদের ডায়রিয়া হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
কালিয়া উপজেলার মকবুল মিয়া বলেন,একেতো গরম তার উপর বিদ্যুত ঠিকমত থাকছে না।যারা রোজা রয়েছে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রয়োজনের তাগিদেই বাইরে বের হতে হচ্ছে৷শিশুদের গরমজনিত রোগ হচ্ছে।ডায়রিয়াজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসা একাধিক শিশুর মা-বাবার সাথে কথা হলে অভিভাবকরা বলেন,হঠাৎ তীব্র গরম পড়ায় তাদের শিশুরা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন।প্রথমে বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।কোন উন্নতি না দেখে পরে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অনেকেই এখন সুস্থ। তবে গরম না কমায় মায়েদর কপালে চিন্তার ভাঁজ লক্ষ করা গেছে৷এসব ব্যাপারে নড়াইল সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের কনসাল্টেন্ট ডাঃ মো: আলিমুজ্জামান সেতু বলেন,অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে গরমজনিত রোগীর ভীড় বাড়ছে হাসপাতালে।এতে শিশুদের সংখ্যায় বেশি।তবে শিশুদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী লোকদেরও সমস্যা হচ্ছে।এসময় শিশুসহ সকল বয়সী মানুষকে তিনি তরল জাতীয় খাবার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ দেন।