নড়াইল জেলা লোহাগড়া উপজেলার ৮নং দিঘলিয়া ইউনিয়নের কোলা গ্রামে ছেলের সামনে মায়ের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেওয়া ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এলোপাথাড়ি মারপিট করে একই গ্রামের কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী।ছেলে সহ্য করতে না পেরে বখাটে যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাম পায়ের রগ কর্তন করে।এই ঘটনার সাথে যাহারা জড়িত তবে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এক পক্ষের একজনকে গ্রেফতার করে।বর্তমান কোলা গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে,পূর্ব বিরোধের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লোহাগড়া উপজেলার কোলা গ্রামের মাহাবুর শেখ ও হিমা খাঁ সমর্থিত লোকজনদের সাথে একই গ্রামের শাহাদত শেখ সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলে আসছিল।তারই জের ধরে ঈদের পরের দিন গত রোববার ২৩ এপ্রিল-২০২৩ইং বিবাদমান ওই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এঘটনার পর ওইদিন সন্ধ্যায় লোহাগড়া থানা পুলিশের নির্দেশনায় বিবাদমান দুটি পক্ষ দ্বন্দ্ব সংঘাতে লিপ্ত হবে না মর্মে পুলিশের নিকট মুচলেকা প্রদান করে।কিন্তু সোমবার ২৪ এপ্রিল দুপুর একটার দিকে কোলা গ্রামের শাহাবুদ্দিন ওরফে সাহেব মোল্লার স্ত্রী নার্গিস বেগম(৪০)বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নদীতে গোসল করতে গেলে তার ছেলে তানভীর হাসানের সামনে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত অশ্লীল কথাবার্তা,গালিগালাজসহ এলোপাথাড়ি মারপিট করে আহত করে প্রতিপক্ষের শেখ সাজ্জাদ(২৭), মোঃ সাইফুল,মোঃ আনিস,মোঃ নাহিদ,মোঃ নাসিম রুবেলসহ আরোও অনেকে।তারপর নার্গিস বেগমের ছেলে তানভীর হাসান মায়ের এমন দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে কয়েকজন মিলে বাড়ির থেকে দা নিয়ে শেখ সাজ্জাদকে পেয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।আহত সাজ্জাদ কোলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মুজিবর শেখের ছেলে।পরে আহত নার্গিস বেগমকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার ভাবি রিক্তা বেগম চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে সেখান থেকেও সাইফুল,আনিস, নাসিম,নাহিদ,রাঙ্গা আবারও এলোপাথাড়ি মারপিট করে নার্গিস এবং রিক্তা বেগমকে।আহত নার্গিস বেগম এখন লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।এব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃ নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ওই গ্রামের এক পক্ষের মৃত সিরু শেখের ছেলে ইসরাফিল শেখ(৪৮)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কোলা গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।