লোহাগড়ায় ক্লিনিকে সিজারিয়ান রুগীকে আয়াদ্বারা ইনজেকশন পুশে রুগীর মৃত্যুর অভিযোগ।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মহাজন রোডে অবস্থিত আল্লারদান সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এর প্রোপাইটার গোলাম কিবরিয়া।
গত ১৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখ সোমবার,লোহাগড়া উপজেলার ঝিকড়া গ্ৰামের সামাদুল ইসলাম এর স্ত্রী কাকলী বেগম(২৫)কে সিজারিয়ানের জন্য ভর্তি করেন।এরপরে ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার পরিক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া ওই রুগীকে একই দিনে রাত ১১ টার দিকে সিজারিয়ান করেন।কাকলীর কোল জুড়ে একটি মেয়ে সন্তান আসে।
ক্লিনিক সূত্রে জানা যায় সিজারিয়ান ডাঃ ছিলেন ডাক্তার কামরুল হাসান মিলু এবং অজ্ঞান ডাঃ ছিলেন ডাক্তার নেওয়াজ মোর্শেদ।
এদিকে সিজারিয়ানের পরে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে রুগী কাকলী বেগম এর শরিলে জ্বালা যন্ত্রণা শুরু হলে ওই ক্লিনিকের কথিত নার্স রোজিনা নামে একজন নারী তাকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এরপরে ওই রুগী ঘুমিয়ে গেছে তার আর জ্ঞান ফিরে আসে নাই।
নিহত কাকলীরব স্বামী সামাদুল ইসলাম ওই ক্লিনিকের লোকজনদের কাছে গেলে কাকলীর মৃত্যুর বিষয় বুঝতে পেরে ক্লিনিকের কিছু লোক ক্লিনিক ত্যাগ করে চলে যান।
সামাদুল ইসলাম আমিন টেলিভিশন এর প্রতিনিধি মোঃ আজিজুর বিশ্বাসকে বলেন আমার স্ত্রীকে ওরা মেরে ফেলেছে,এবং কি ইনজেকশন দিয়েছে আমি জানিনা এদের শাস্তি দাবি করছি আমি।
নিহত কাকলীর চাচা সাংবাদিকদের বলেন আমরা ভাতিজীকে এরা অপচিকিৎসা করে মেরে ফেলেছে। স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে আমার দাবি এসকল ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।
এসময় এক শ্রেনীর মানুষ এসে নিহতের পরিবার ও নিহতের স্বামীর সাথে এসে এক লক্ষ টাকায় মিমাংসার জন্য মিমাংসার চেষ্টা চালায়।স্বামী সামাদুল ইসলামকে ম্যানেজ করার জন্য ক্লিনিক মালিক কিবরিয়ার কাছে থেকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করান।
এবিষয়ে ক্লিনিকের কাজের আয়া রোজিনার সাথে কথা হলে তিনি স্বীকার করে বলেন যে,সে কোনো নার্স না, সে ইনজেকশন পুশ করছে।
এসময় উপস্থিত কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন আমরা দেখেছি অনেক বার এই ক্লিনিকে এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে।ক্লিনিকের মালিকের টাকার কাছে তখন নিহতের পরিবার ম্যানেজ হয়ে যায়।
ক্লিনিকের মালিক মোঃ কিবরিয়ার সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় নাই।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি,এইচও এসএম মাসুদ এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনা শুনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই ক্লিনিকে টিম পাঠিয়েছিলাম প্রতিবেদন পাঠিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নাসির উদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনা শুনেছি নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি,অভিযোগ পেলে আইনগত
ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
রিপোর্টারের নামঃ মোঃ আজিজুর বিশ্বাস
রিপোর্টারের নামঃ আজিজুর বিশ্বাস মোবাইল নাম্বার ০১৯২০২৮১৭৮৭/০১৭০৫১৯৩০৩০