নড়াইল জেলা সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের সড়াতলা গ্রামে শক্রবার দুপুরে নিজ বিছানায় গলা কেটে হত্যা করে সেইসাথে অগ্নিদ্বারা পুড়িয়ে হত্যা করেছে আছিয়ার স্বামী মোঃ রনি শেখ।নিহত আছিয়া বেগম(২২)আউড়িয়া গ্রামের মোঃ রনি শেখের স্ত্রী।ঘটনার পর পরই পাষন্ড স্বামী রনি শেখ পলাতক।নড়াইলের পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায় আছিয়া একই গ্রামের এখলাস শিকদারের মেয়ে,৪বছর পূর্বে রনি শেখর সঙ্গে আছিয়ার বিবাহ হয়।তাদের ২বছর ৬মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।বিবাহের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মধ্যে দম্পতি জীবনে কলহ শুরু হয়।সূত্রে জানা যায় রনি শেখ অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারনে তাদের মধ্যে কলহ ও বিবাদের সৃষ্টি হয়।
“স্বামী রনি ও স্ত্রী আছিয়া এবং তাদের পুত্রসন্তান” এর ছবি
৫নভেম্বর-২০২২ইং রোজ শক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রনিদের বসত ঘরের জানালা দিয়ে অগ্নি প্রবাহিত হয় এই ঘটনা দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসে অগ্নি বিভিন্ন কৌশলে বন্ধ করে দেয়।তারপর দেখতে পায় বিছানার চাঁদর,তোষক,কাঁথা ও আছিয়ার গায়ের কাপড় পুড়ে যায়।এলাকাবাসী বলেন এমন কাজ এই আউড়িয়া ইউনিয়নে ঘটে নাই।রনি পরকিয়ার জের ধরে নিজ স্ত্রীকে গলা কেটে তারপর এমনভাবে অগ্নিদ্বারা ঘটিয়েছে পাষাণহৃদয় না হলে এমন কাজ করতে পারে না।রনির এই ঘটনা সঠিক তদন্ত করে এবং প্রমানিত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রনির মৃত্যু কার্যকর করা হোক।এটা দেখে কোন মা বাবার কোল শূন্যে না হয়।তদন্ত করে বের করতে হবে কোন নারীর প্রতি আশক্ত হয়ে নিজ স্ত্রীকে হত্যা করতে পারে,পরকিয়া নারীকে খুঁজে বের করলে আসল রহস্য জানা যাবে।
*পাষন্ড স্বামী রনি শেখ*
নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃ মাহামুদুর রহমান বলেন ধারনা করা হচ্ছে দাম্পত্য কলহের কারনে রনি তার স্ত্রী আছিয়াকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে এবং পুড়িয়ে হত্যা করেছে।এদিকে পাষন্ড স্বামী রনি শেখ পলাতক রয়েছে তবে বাড়িতে শিশুটিকে নিয়ে তারা দুজনই বসবাস করতেন।নড়াইল সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে পুলিশ।আজ শনিবার লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হলে নিহতকে তার নিজ অভিভাবকের নিকট হস্তান্তর করবেন বলে জানা যায়।এই বিষয় নিয়ে মামলা হলে তদন্ত করে অপরাধীকে আইনের আওয়াধীন এনে বিচার করবে বলে জানা যায়।
*রনির স্ত্রী নিহত আছিয়ার ছবি*