নাটোরে ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার স্বামী মামুন আটক।
নাটোরে আটমাস পার হতে না হতেই পরিসমাপ্তি সহকারি শিক্ষিকার জীবন।একপর্যায়ে ফেসবুকে পরিচয় তারপর দুজন দুজনের গভীর প্রেমের সম্পর্ক হয় এবং ভালোবাসা প্রণয়ে রূপ নেয় গত ১২ ডিসেম্বর-২০২১ইং সাল।কাজী অফিসে গিয়ে ২জন বিয়ে করেন।বলছিলাম কলেজছাত্র মামুন হোসেন(২২)ও নাটোরের খুবজীপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা খায়রুন নাহার(৪০)দম্পতির পরিনতির কথা।
মামুন ও নাহার এর দম্পতির সংসার জীবন হঠাৎ সেখানে নেমে এলো কালো অন্ধকার।৮মাস পার না হতেই ভালোবাসার পরিসমাপ্তি।প্রদীপ নিভিয়ে গেল শিক্ষিকার জীবন,১৪আগস্ট-২০২২ইং রোজ রবিবার সকালের দিকে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়াবাসা থেকে শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রহস্যজনক মৃত্যু খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাচকৈড় পৌর এলাকার মোঃখয়ের উদ্দিনের কন্যা।তিনি উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মামুন প্রতিবেশীদের ডেকে বলেন,তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।প্রতিবেশীরা তার ঘরে গিয়ে দেখতে পায় খায়রুন নাহারের দেহ মেঝেতে শোয়ানো রয়েছে।এলাকাবাসির সন্দেহ হলে স্বামী মামুনকে আটক রেখে প্রশাসনকে সংবাদ দেন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী মামুনকে গ্রেফতার করে।
এদিকে নাটোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, লাশের সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে।সেই সাথে মামুনকে আটক করা হয়েছে।মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)নাসিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে।রহস্যময় মৃত্যুর তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এই হত্যাকান্ডটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা নিশ্চিত হওয়া যাবে।হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক না কেন,ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।
এবিষয় নিয়ে জানা যায়,এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় ঘটে।তারপরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়।তারা ২০২১সালের ১২ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন।বিয়ের ৬মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নিতে পারি নাই।দ্বিতীয় স্বামী মামুনের আগে শিক্ষিকা বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলায়।পারিবারিক কলহের সংসার বেশি দিন গড়তে পারি নাই।প্রথম স্বামীর ঘরে এক সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়।
মৃত্যের পূর্বে খায়রুন নাহার জানিয়েছিলেন,প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।আত্মহত্যা করারও সিদ্ধান্ত ও নিয়েছিলেন।আর মনমানসিকতা ভেঙ্গে যাওয়ার পর ফেসবুকে পরিচয় হয়ে যায় মামুনের সঙ্গে।মামুন আমার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছে।নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছে।এর পরে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।মামুন বলেছিলেন লক্ষ ও মন্তব্য কখনো গন্তব্যস্হানকে ঠেকাতে পারে না।কে কি বললো সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মত সংসার সাজিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেন।সে সময় সবার কাছে দোয়াও চেয়েছিলেন শিক্ষিকা।
দুরান্ত টিভি২৪ ডট কম সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রোদ্ধাশীল এবং ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী,উষ্কানীমূলক কোন বক্তব্য না করার জন্য প্রতিনিধিদেরকে অনুরোধ করা হইলো” durantotv24.com কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।উস্কানিমূলক কথা না বলার জন্য অনুরোধ করা হইলো।সত্য নিউজ দিবেন আর ক্রাইম রিপোর্ট প্রমানসহ দেওয়ার জন্য বলা হল।