রিপোর্টারঃ--কৃপা বিশ্বাস,নড়াইল প্রতিনিধি || নড়াইল সদরের পিন্টু মিনার বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ সহ স্থানীয়দের হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও আমলি আদালত একটি মামলা দায়ের হয়েছে।মামলার নধিসূত্রে জানা যায়।
আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্বাচনী ব্যায়ে প্রধান ডোনার হিসাবে কাজ করত এই পিন্টু মিনা।আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাওয়া এই পিন্টু লাখ লাখ টাকা লুটপাট করে গড়ে তুলেছে ঢাকা,খুলনা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিলাসবহুল বাড়ি।এলাকায় সুদে কারবারি করে সর্বশান্ত করেছে অসহায় নিরীহ মানুষদের।
এলাকাবাসীর দাবি দুদক কর্তৃক তার সব সম্পত্তি খতিয়ে দেখলে বেরিয়ে আসবে ধলের বিড়াল।সুচতুর এই পিন্টু তার কালো টাকা সাদা করতে নাম মাত্র ব্যাংক লোন দেখিয়ে নিজেকে অভাবি সাজার ভান করেন।তার বিরুদ্ধে সরকারি আয় কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার সর্ত্বে এক বৃদ্ধা বলেন,নোয়াপাড়া বকুল সাহেবের দোকানের কর্মচারি সিমেন্ট চোর রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার কারন কি? বিগত তত্বাবধায়কের সময় অনেকেই কালো টাকা সাদা করার জন্য তাহার একাউন্টে টাকা রাখত।
জানাগেছে ,এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করতে পিন্টু মিনা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার সাধারণত মানুষকে ভয়ভীতি, হুমকি,ধামকি দিয়ে আসছে।বিগত সময়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের বড় নেতা দাবি করে রাস্তার সরকারি জায়গায় গড়ে তুলছেন বিলাসবহুল বাড়ি।তার অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শায়েস্তা করেন।আওয়ামী লীগের আমলে ওই অঞ্চলের সাধারণ নিরীহ মানুষদের নানা ভাবে হয়রানি,শালিস বৈঠকে নগত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ছাড়াও রয়েছে একাধিক বিস্তার অভিযোগ।নিজ এলাকা থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয় এই আওয়ামী লীগের দোসরা।সরকার পরিবর্তন হলে ও তার রুপের পরিবর্তন হয়নি।এখনও এলাকায় একক প্রভাব বিস্তার করে চলছে
এই পিন্টু মিনা।তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।নির্যাতনের শিকার হয়ে ও তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।কেউ কিছু বললে তার নিকটতম এক আত্মীয় পুলিশ অফিসার হওয়ায় তাকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় করে শায়েস্তা করার হুমকি দেন।
গত কাল হিন্দু সম্প্রদায়ের এক সার্ভেয়ার জমি পরিমাম করতে গেলে তাকে আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে তাকে মারতে যায়।সার্ভেয়ারকে নিজে ডেকে নিয়ে পরিমাপের সকল কর্মকাণ্ড শেষ হলে তাকে তার প্রাপ্য অর্থ প্রদান না করে তাড়িয়ে দেয়।স্থানীয় বাসিন্দারা তার অত্যচার ও অবৈধ সম্পদের সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)ইলিয়াস আহমেদ বলেন,এ বিষয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে । তদন্ত পূর্বক আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।