রিপোর্টারঃ মোঃ হারুন-অর-রশিদ,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি–গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় স্ত্রীকে শ্বাস রোধ করে হত্যার পর থানায় গিয়ে মহসীন আলী (২৭) নামের এক ঘাতক স্বামী আত্মসমর্পণ করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।শনিবার ০৮ জুলাই-২০২৩ইং বিকাল আনুমানিক ৫ টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের
কলেজপাড়া নামক এলাকায় এঘটনাটি ঘটে।অভিযুক্ত ঘাতক স্বামী মহসীন সে সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,অভিযুক্ত মহসীন আলীর সাথে পারিবারিক ভাবে গাইবান্ধার মোল্লাপাড়ার মৃত কাদের মোল্লার মেয়ে শেফালী খাতুনের ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মহসীন আলী কোনো কাজকর্ম করতো না।পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই স্ত্রীর সাথে প্রায়ই ঝগড়া- বিবাদ লেগে আসছিল।এরপরে মহসীন আলীর স্ত্রী শেফালীর কোনো সন্তান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিল।
এরি ধারাবাহিকতার একপর্যায়ে শনিবার (০৮ জুলাই) বিকালের দিকে ঝগড়ার একপর্যায়ে মহসীন আলী স্ত্রীর গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে শেফালীকে হত্যা করে। পরে তা আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করতে মরদেহটি তার শয়ন নিজ কক্ষে ঝুলিয়ে রাখে।ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা শেফালীর হাতে একটি চিরকুট ছিল।এতে লেখা ছিল আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়,কারো কোনো দোষ নেই।এরপর সে প্রতিবেশীদের জানিয়ে নিজেই সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহসহ একটি চিরকুট উদ্ধার করে।মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো.মাহাবুর রহমান বলেন,ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার ও ওই চিরকুটটি অভিযুক্ত মহসীনের লেখা বলেই মনে করা হচ্ছে।নিজের উপর থেকে সন্দেহ সরাতে সে ওই কাজটি করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মরদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোঃ হারুন অর রশিদ
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
০১৭৪০১৫৬২১৩
০৮/০৭/২৩