গাইবান্ধায় ঘাঘট নদের ভাঙনে সর্বশান্ত অনেক পরিবার।ভিটামাটি হারিয়ে নাম লিখিয়েছেন উদ্বাস্তু তালিকায়।ভাঙন প্রতিরোধে দাবি জানানো হলেও তা শোনার কেউ নেই বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী মানুষগুলোর।এখনও ঝুঁকি নিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় বাস অনেক পরিবারের।হুমকির মুখে ব্রীজ,বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ নানা স্থাপনা।
নদের ভাঙনে চোখের সামনেই বিলীন হয়েছে ভিটে-মাটি।শেষ বয়সে এসে বিবর্ণ সাদুল্লাপুর উপজেলার জামুডাঙ্গা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সোনাতন মহন্তের বেঁচে থাকার স্বপ্ন।
স্থানীয়দের অভিযোগ,কয়েক বছর ধরে ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘাঘট নদের তীর।এতে দিশেহারা তীরবর্তী হাজারো মানুষ।ভাঙন রোধে বারবার দাবি জানিয়ে আসলেও কেউ শোনেনি কথা, হয়নি কোনো কাজ।এতে হুমকির মুখে পড়েছে ভিটেমাটিসহ ব্রিজ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অভিযোগ, ভাঙনে গ্রাম বিলীন হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি এমনকি এমপির ডিও লেটারও কোনো কাজে আসেনি।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো.রাশেদুল ইসলাম বলেন,নদী ভাঙন ঠেকাতে প্রতি বছরই আমরা কিছু মেরামত কাজ করি।এ বছরও বেশ কিছু জায়গায় ভাঙনের তথ্য পেয়েছি এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে কাজ শুরু করেছি।