গরু চুরির অভিযোগে চোর সন্দেহে বাবুল হোসেন (৪০)নামে একজনকে আটক করে এলাকাবাসী। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলাধীন শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালাঙ্গী,কোনার বাড়ী এলাকায়।গতকাল ২৫ এপ্রিল-২০২৩ইং সকালে চোর সন্দেহে বাবুলকে ঝালাঙ্গী সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় আটক করে এলাকাবাসী।জানা যায় বাবুল মৃত মনসুর আলীর ছেলে।তিনি একই এলাকার বাসিন্দা।এলাকাবাসী জানায় এনি প্রকৃতপক্ষে চোর এবং এর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।এলাকাবাসী পক্ষে, সুলতান আহমেদ,সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ(৪নং ওয়ার্ড)তিনি বলেন এই বাবুল সমাজে বিভিন্ন অবৈধ কাজের সাথে জড়িত একে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যাবস্থা করতে হবে।অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,গত ৪ এপ্রিল পার্শ্ববর্তী ভারতীয় লোকজন ভারতীয় জমিতে গরু বেঁধে রাখে।ঐদিন ভারতীয় গরুটি বাংলাদেশী বাসিন্দা মোঃ বাবুল হোসেন,পিতা- মৃত: মনছুর আলী সে দুপুরে গরুটি নিয়ে আসে।পরবর্তীতে ওই গরুর জের ধরে ভারতীয় লোকজন অভিযোগ করে এবং সীমান্তে বেধে রাখা মোঃ রেজাউল ইসলাম (৪০),পিতা- মৃত: মহির উদ্দিন, সাং-ঝালাঙ্গী(কোনারবাড়ী),ওয়ার্ড নং- ০৪,এর গৃহ পালিত ৪টি ছাগল ভারতীয় বাসিন্দা গরুর মালিক শ্ৰী ভূপেন চন্দ্ৰ রায় ও শ্রী ভবেশ চন্দ্র রায় নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়।অভিযোগকারী রেজাউল ইসলাম বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনসহ নেতা কর্মী ও ইউপি সদস্যকে অবগত করে,তারা সকলেই বাংলাদেশী বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে দায়িত্বরত অফিসারকে বিষয়টি অবগত করে।অতপর ক্যাম্প অফিসার আশ্বাস দেয় যে,উক্ত বিষয় নিয়ে ভারতীয় বিএসএফ এর সাথে আলোচনা করা হবে এবং মাননীয় গন্যমান্য লোকজনসহ বিজিবি ও বিএসএফ সহিত এক পতাকা বৈঠক হয় যে,উভয় পক্ষ গরু ছাগলের অনুসন্ধান পাইলে বিষয়টি সুষ্ঠ সমাধান করা হবে বলে বৈঠক হয়।এদিকে অনুসন্ধান পাওয়া যায় যে,ভারতীয় সেই গরুটি বাংলাদেশী বাসিন্দা বাবুল হোসেন নিয়ে আসে।সেই গরু ফেরত না দেয়ায় ভারতীয় লোকজন ছাগল ৪টি ফেরত দিতে অধ্যাবদী পর্যন্ত টাল বাহানায় সময় ক্ষ্যাপন করে।আমি ও মাননীয় গন্যমান্য স্থায়ী লোকজনসহ ইউপি সদস্য এবং ক্যাম্প অফিসার একাধিক বার ভারতীয় লোকজনের নিকট হইতে ছাগল ৪টি উদ্ধারে ব্যার্থ হয়েছি।এবিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।