খুলনায় বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশের পর মামলার চাপে পড়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা।সমাবেশের দিন ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৯ দিনে নগরীর বিভিন্ন থানায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ ও আ’লীগ নেতারা।এসব মামলায় কাউন্সিলর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সিনিয়র নেতাসহ ৭২০জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জনকে।
গত ২২ অক্টোবর খুলনায় অনুষ্ঠিত বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশ।সমাবেশকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাস, লঞ্চ, ট্রলারসহ সব ধরনের গণপরিবহন।গণসমাবেশের দিন সমাবেশে আসতে বাধা দেওয়া বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।এতে খুলনা রেলস্টেশন,৬নং ওয়ার্ড আ’লীগ কার্যালয়,নগরীর শিববাড়ি মোড়ে কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া দু’টি ওয়ার্ডে বিএনপি কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তবে আ’লীগ কার্যালয় ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হচ্ছে। এর মধ্যে ২২ অক্টোবর রাতেই প্রথম মামলাটি দায়ের করেন খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার। রেলস্টেশনে গ্লাস ভাঙচুরের অভিযোগে জিআরপি থানায় দায়ের করা ওই মামলায় আসাসি করা হয় অজ্ঞাত পরিচয় বিএনপি’র ১৭০ নেতাকর্মীকে।
২৩ অক্টোবর নগরীর ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন দলের ওয়ার্ড আ'লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাজী মোবাশ্বের। মামলায় আসামি করা হয় দৌলতপুর থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি’র ৫৯ নেতার নাম উলেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়।একই দিন দৌলতপুর থানায় আরেকটি মামলা করেন নতুন রাস্তা বেবিস্ট্যান্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। ওই মামলায় ৫৯ জনের নাম উলেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০/২০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় গণসমাবেশের দিন শ্রমিক লীগের সভাপতিসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
২৬ অক্টোবর নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় মটর সাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করেন ১৮নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এই মামলায় নগরীর ১৮ ও ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ১২ জনের নাম উলেখ করে ১৪০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন,বাধা দিয়েও খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে পারেনি আ’লীগ। তাদের ব্যর্থতা ঠাকতে এখন বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দেওয়া হচ্ছে। তবে মামলা নিয়ে ভীত নয় বিএনপি। আইনীভাবে সকল মামলা মোকাবেলা করা হবে।তিনি আরও বলেন সরকারের পায়ের নিচে মাটি নাই? বুঝতে পেরে এখন আবার মিথ্যা বানোয়াত মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার।