খুলনা’র বটিয়াঘাটা উপজেলার ৩ নং গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের মশিয়ারডাঙ্গা এলাকার সরকারি (মশিয়াডাঙ্গা খাল)খননে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।উক্ত খাল খননে কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের সুবিধার্থে এ বছর ১৫লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে।খাল খনন প্রকল্পের মূল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নজরুল ইন্টারপ্রাইজের নামে টেন্ডারে বরাদ্দকৃত খাল দেখালেও প্রতিষ্টানের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।বা তার সাথে যোগাযোগ করা সম্বাব হয় নাই।পরবর্তীতে আসা নামের একজনের কথা বলেও সাগর(বেকু ড্রাইভার) নিজেকে ঠিকাদার হিসাবে দাবি করে উক্ত খাল খনন শুরু করেন।নিয়ম অনুযায়ী খালের মাটি কেটে দুই পাশের পাড় বাঁধার কথা- যাতে বর্ষা মৌসুমে ফসলী জামির পানি নিষ্কাশন করা যায় এবং শুষ্ক মৌসুমে খাল থেকে পানি তুলে কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান আমাদের চলাচলের পাকা ইটের রাস্তা সাগর নামধারী অবৈধ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান(বেকু ড্রাইভার) খালের দক্ষিণ পাশে জায়গা থাকার পরও নিজের সুবিধার জন্য উত্তর পাড়ের রাস্তার সোলপ কেটে ফেলেছে।যার ফলে ইটের স্লিলিং ঘেঁসে খাল খনন করে বর্ষার মৌসুমে রাস্তা ধসে যেয়ে হাজার হাজার মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।এছাড়া খালের যতটুকু প্রসস্থ ও গভীর করার কথা তা করা হয়নি।অপর এক ব্যক্তি বলেন,আমার জানা মতে দরিদ্র শ্রমিকদের দিয়ে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে খাল খনন করার কথা। অথচ মেশিন দিয়ে খনন করায় শ্রমিকরা বঞ্চিত হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপ-সহকারী প্রকৌশলী বি এ ডি চি মোঃ সোহরাব হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়,খালের উপর ব্যাক্তি মালিকানাধীন কালভার্ট পানি সরবরাহের জন্য বাদা হয়ে আঁড়।এলাকাবাসীর গণদাবিতে উপজেলা নির্বাহি অফিসার শেখ নুরুল আলম’র নির্দেশনায় ভেঙ্গে দিয়ে এলাকার কৃষকদের ফসলের ক্ষেতের পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।কিন্তু মূল ঠিকাদার নজরুল ইন্টারপ্রাইজ সঠিক কোন তথ্য দিতে না পারায় নিজেই ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তাই এ নিয়ে জনমনে নানা সংশয় তৈরি হয়েছে।এ ব্যাপারে উপজেলা অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রবিউল ইসলাম সাথে কথা বললে তিনি বলেন,বিষয়টি আমরা শুনেছি।খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।