রুপসা উপজেলার ডোবা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক দীপ্তীশ্বর বিশ্বাস কর্তৃক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব এবং শ্লীতাহানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পিতা।অভিযোগসূত্রে জানা গেছে উক্ত প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল।অবশেষে ঘটনা দিন সকালে নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে তিনি কুপ্রস্তাব দেন।তার প্রস্তাবে উক্ত শিক্ষার্থী রাজি না হলে সুকৌশলে অন্যান্য ছাত্রীদের তিনি ছুটি দিয়ে দেন উক্ত ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটান।ভুক্তভোগী চিৎকারে আশেপাশের লোক এগিয়ে এলে তিনি স্থান ত্যাগ করেন।বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে তার অপকর্মের বিচারের দাবিতে ১০ আগস্ট মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।জানা গেছে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপ্তিশ্বর বিশ্বাস বিদ্যালয়ের নবম দশম শ্রেণীর ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন সময় অসৌজন্য মূলক আচরণ করতেন।এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১০আগস্ট-২০২২ইং সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত উক্ত প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষককে আবদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীরা একত্রিত হয়ে মানববন্ধন এবং সমাবেশ করে। পরবর্তীতে ছাত্রছাত্রীরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঢুকে বিদ্যালয় এর চেয়ার,টেবিল,ব্যবহারিক জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।এ সময় প্রধান শিক্ষককে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মারধর করার চেষ্টা করে।অবশেষে প্রধান শিক্ষককে থানা পুলিশ আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনার সূত্র ধরে ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে রূপসা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামরা নং ১১অপর দিকে অত্র বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কামাল উদ্দিন বাদশা উক্ত প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।পুলিশ আজ সকালে উক্ত প্রধান শিক্ষককে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে।
উল্লেখ্য ২০০৮ সালে উক্ত প্রধান শিক্ষক উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার নামে আরও একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে মামলা দায়ের হয়। মামলাটি এখনও চলমান।আদালতের নিকট অভিভাবকদের প্রার্থনা অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে যে সকল শিক্ষক জড়িত তাদেরকে সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবী করেন।