সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উলিপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।ঘটনার ৪দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ চিহ্নিত ঐ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার না করায় বুধবার ১০ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২ সহস্রাধিক ব্যবসায়ী স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে প্রধান সড়কে দীর্ঘসময় ধরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
উলিপুর বণিক সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা,বণিক সমিতির সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন চাদ,সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম মন্ডল দুলু,সদস্য স,ম আল মামুন সবুজ,সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।ব্যবসায়ীরা অবিলম্বে চিহ্নিত ঐ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।অন্যথায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচী দিয়ে সবকিছু অচল করে দিবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তারা বলেন,ভবিষ্যতে কোন ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলা হলে সকল ব্যবসায়ী মিলে তাকে আটকিয়ে রাখবেন।সন্ত্রাস প্রতিরোধে উলিপুর বণিক সমিতি আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।
শনিবার ৬আগষ্ট বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উলিপুর থানা থেকে মাত্র ৫০০গজ দূরে উপজেলা সদরের থানা মোড় এলাকার ঔষধ ব্যাবসায়ী আলমগীর হোসেন তার দোকানের অদুরে পার্শ্ববর্তী একটি ফার্মেসীতে ঔষধ নিচ্ছিলেন।ঠিক ওই সময় অতর্কিত ধারালো চাপাতি হাতে এক সন্ত্রাসী পিছন দিক থেকে এসে আলমগীরকে কোপাঁতে থাকে। এতে তার হাত ও পিঠের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম হয়।এরপর ওই সন্ত্রাসী বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানে উপস্থিত কয়েকজন।
আহত ওই ব্যবসায়ীকে প্রথমে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় তারপর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।বর্তমানে ওই ব্যবসায়ী কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এ ঘটনায় আলমগীরের স্ত্রী ফারজানা বেগম বাদী হয়ে অভিযুক্ত হায়াৎ খাঁ কুড়ার পাড় গ্রামের আসাদ আলীর ছেলে মাসুদ রানাসহ অজ্ঞাতনামীয় ২থেকে ৩জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৭/২২ তাং- ০৭/০৮/২০২২ইং সাল।
আহত ঔষধ ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর উলিপুর পৌর এলাকার বলদি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইউসুফ আলীর পুত্র।
জানা গেছে চিহ্নিত ওই সন্ত্রাসীর নাম মাসুম,তার বাড়ি নারিকেল বাড়ি কুড়ারপাড়। সে সব ধরনের মাদক সেবনে অভ্যস্ত এবং দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় (দাদন ব্যবসা)বেশ দাপটের সাথে সুদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে।ধারণা করা হচ্ছে টাকা পয়সা লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সন্ত্রাসী ঘটনার সূত্রপাত হতে পারে।