গত প্রায় ৬ মাস ধরে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে মন্দাভাব চলছে। সেই ধারা অব্যাহত রেখে সোমবার আরেক দফা কমেছে জ্বালানি তেলের দাম।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল (এক ব্যারেল=১৫৯ লিটার) ব্রেন্ট ক্রুড জ্বালানি তেলের দাম ১ দশমিক ৫৪ ডলার কমে পৌঁছেছে ৯৩ দশমিক ৩৮ ডলারে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেকসাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিইটিআই) তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৪১ সেন্ট কমে হয়েছে ৮৭ দশমিক ৬৩ ডলারে। শতকরা হিসেবে উভয় প্রকার তেলের দাম এ দিন কমেছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধার পর থেকেই মন্দাভাব শুরু হয়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শতাংশ হিসেবে গত ৬ মাসে বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ ও ডব্লিউটিআইয়ের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, ধীরে ধীরে মন্দাভাব কাটিয়ে উঠছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার। মার্কিন বাজার বিশ্লেষক স্টিফেন ব্রেনোক রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘একদিকে (রাশিয়া-ইউক্রেন) যুদ্ধের জেরে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমে গেছে, অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হওয়া আর্থিক মন্দাভাব পড়েছে তেলের বাজারেও। এ কারণে গত ছয় মাস ধরে তেলের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।’
‘তবে গত সপ্তাহ থেকে ধীর গতিতে হলেও ছন্দে ফেরা শুরু করেছে বাজার।’
অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে চীন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই— ৭ মাসে প্রতিদিন ৮ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আমদানি করেছে দেশটি।
কিন্তু ২০২১ সালের প্রথম সাত মাসে চীন যে পরিমাণ অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছিল, তার তুলনায় চলতি ২০২২ সালে আমদানি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটি।