১৬ই ডিসেম্বর-২০২২ইং রোজ শক্রবার শহীদদের প্রতি হাজার ছালাম,বিনম্রতা শ্রোদ্ধার সাথে জানান দুরান্ত টিভি২৪ ডটকম এর আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড.মোঃ রাকিব হাসান।১৯৭১সালে বাংলাদেশ এক ভয়াবহতার ভিতর কাটিয়ে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কাছে থেকে বাংলার লোক স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছে।বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা এবং জীবনবাজী রেখে দেশের জন্য কাজ করেছে।তাদের প্রতি অফুরান্ত ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন।৯মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১সালের ১৬ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায়-৯১.৬৩৪ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পন করে এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুয় ঘটে।আজকের এই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে সালাম ও মহান বিজয় দিবসের প্রানঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।আজকের এই ১৬ ডিসেম্বর দিনটি আমাদের কাছে বাঙ্গালী জাতির কাছে অবিস্মরণীয় এক ইতিহাস ৯মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০লক্ষাধিক মানুষের প্রানের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে।আজকের এই ইতিহাসে যা মহান বিজয় দিবস নামের পরিচিত।আজকের এই আমাদের মা বোনের সংরক্ষিত সম্ভ্রমের লুটপাট এ বিজয়।আমরা সেই সব আলোকিত মানুষকে স্মরণ করছি যাদের আলোর পরশে এসেছে মুক্তমনে বাঁচার অধিকার।প্রানের মায়া ত্যাগে যারা দিলো এ বিজয় তাদের হাজারো সালাম।কত অন্তরায় কত বাঁধা পেরিয়ে এ বিজয় অর্জন,হাজারও দেশদ্রোহী জন্জালে উত্তপ্ত ছিলো এ মাটি।দেশের স্বার্থে যারা প্রান দিলো তারাই দিলো জয়ের সাথী।অবশেষে কি অনেক সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ ত্যাগে এবং বাঙ্গালী জাতির মৃত্য।আমার মা-বোনদের লজ্জা হারানোর বিনিময়ে আমরা আজকের এই বিজয় পেতে সফল হয়েছি।তাই আমি লাখো কোটি সালাম জানাই সেই সব শহীদদের যাদের বিনিময়ে আমরা বাঙালী জাতি এখন স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারছি।আমরা যেন মা মাটির জন্য দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে সব সময় কাজ করে যেতে পারি এবং লক্ষ লক্ষ শহীদদের মর্যাদা বজায় রাখতে পারি।শহীদদের প্রতি মিনারে হাজারও ফুল দিয়ে বরণ ও স্মরণ করে থাকে।বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ,দলমত নির্বীশেষে শহীদদের প্রতি স্মরন করে ১৬ই ডিসেম্বরের দিনটি।আর দিনটি থাকে এক স্মৃতিময়ের গাঁথা ফুলের মালা।
ছবিঃ-অ্যাড.মোঃ রাকিব হাসান-আইন বিষয়ক সম্পাদক
১৬ ডিসেম্বর বাঙালির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্জনের দিন,১৬ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস।বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্জনের ও আত্মগৌরবের একটি দিন।১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে আনে।বাঙালি জাতির ইতিহাস হাজার বছরের পরাধীনতার ইতিহাস।দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীন হলেও এই ভুখণ্ডের বাঙালির স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আসেনি।
১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভক্ত হয় এবং পূর্ব বাংলাকে নিয়ে পাকিস্তান নামে একটি অসম রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।তখন থেকেই পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী বাঙালির ওপর চেপে বসে এবং শাসন, শোষণ ও নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায়।বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা,বাংলাদেশের স্থপতি,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতি ১৯৭১সালে উপনীত হয়,১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাঙালি জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে।এরই প্রেক্ষাপটে ২৬মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।শুরু হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে রাখা হয়।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতেই তাকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত বাংলাদেশের সরকারের অধীনে পরিচালিত দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ১৬ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।এই বিজয় অর্জনে মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষায় এই বিজয় অর্জিত হয়। কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও গৌরবগাঁথা গণবীরত্বে পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাঙালি জাতি।বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির আকাঙ্খায় উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান,৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ’৫৬-এর সংবিধান প্রণয়নের আন্দোলন’৫৮-এর মার্শাল’ল বিরোধী আন্দোলন, ’৬২-এর শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন’৬৬-এর বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফার আন্দোলন,৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’৬৯-এর রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থান,৬-দফা ভিত্তিক ’৭০-এর ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন মুক্তিযুদ্ধকে অবধারিত করে তোলে।এই সব আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।এর পর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।খ্যাত কালজয়ী ভাষণ ও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতিকে চূড়ান্তভাবে উদ্বুদ্ধ করে।বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন প্রভূত ঘটনা প্রবাহের মধ্য স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে বাঙালি জাতি।২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিলে তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালী জাতির নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।বাঙালির এই মুক্তিযুদ্ধে পাশে দাঁড়ায় প্রতিবেশী দেশ ভারত,সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রগতিশীল রাষ্ট্রের সরকার ও মুক্তিকামী মানুষ।তবে কোনো কোনো পরাশক্তি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরুদ্ধে নামে এবং পাক পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে সব ধরণের সহযোগিতা দেয়।শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধে দোর্দণ্ড গতিতে এগিয়ে যায় বাঙালি। ৯মাসের রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধ শেষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ১৬ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।এর মধ্য দিয়ে বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।এ দিবসটি বাঙালির বিজয় দিবস ও বাংলাদেশের জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।দিনটি সরকারি বেসরকারি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন করছে।
দুরান্ত টিভি২৪ ডটকম এর পক্ষ হতে বিজয়ের মাসে শহীদদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন–
দুরান্ত টিভি-
অ্যাড.মোঃ রাকিব হাসান-আইন বিষয়ক সম্পাদক