১২নং সরাইপাড়া সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ।জানা যায় শিক্ষক রুবেল শিক্ষক আলী,শিক্ষিকা বিলকিস,শিক্ষক জালাল,শিক্ষক সাইফ তারা ৫জনে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর প্রতিদিন শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে,কোন দেশেই শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার আইনগত অধিকার নেই শিক্ষকের।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২০১১ সালে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা-২০১১ শিরোনামে জারিকৃত সেই আদেশের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে-শারীরিক শাস্তি বলতে বুঝাবে যে কোন ধরনের দৈহিক আঘাত করা।
যেমন:শিক্ষার্থীকে হাত-পা বা কোন কিছু দিয়ে আঘাত বা বেত্রাঘাত,চক বা ডাস্টার জাতীয় বস্তু ছুঁড়ে মারা,আছাড় দেয়া ও চিমটি কাটা,কামর দেয়া,চুল টানা বা চুল কেটে দেয়া,হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে পেন্সিল চাপা দিয়ে মোচড় দেয়া,ঘাড় ধাক্কা দেয়া,কান টানা বা ওঠা-বসা করানো,চেয়ার টেবিল বা কোনকিছুর নিচে মাথা দিয়ে দাঁড় করানো বা হাঁটু গেড়ে দাঁড় করে রাখা,রোদে দাঁড় করিয়ে বা শুইয়ে রাখা,কিংবা সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড় করানো এবং ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে এমন কোন কাজ করানো।আর মানসিক শাস্তি বলতে বুঝাবে- শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এমন কোন মন্তব্য করা যেমন:মা-বাবা,বংশ পরিচয়,গোত্র বর্ণ ও ধর্ম সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করা,অশোভন অঙ্গভঙ্গি করা যা শিক্ষার্থীদের মনে বিরোপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি ১২নং সরাইপাড়া সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ জানা যায় শিক্ষক রুবেল শিক্ষক আলী,শিক্ষিকা বিলকিস,শিক্ষক জালাল তারা ৪জনে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর প্রতিদিন শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে কাউকে এক হতে ৩০,৫০বার কান ধরে ওঠানামা করছে,নয়তোবা বেত্রাঘাত নয়তোবা টেবিলের নিচে মাথা ঢুকিয়ে বেত্রাঘাত করছে,হাটুর নিচে হাত দিয়ে কান ধরিয়ে,ব্যাঙ বানিয়ে শাস্তি দিচ্ছে কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়এই স্কুলের এরা সবাই শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে,তাদের নির্যাতন কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে চাই না প্রতি ঘন্টায় ক্লাসের প্রতি ঘন্টার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি নির্যাতন চালায়,এগুলো কোন ধরনের শিক্ষক শিক্ষিকা আমার ছেলে যদি কোন সময় রক্তাক্ত হয় তাহলে প্রধান শিক্ষককে দায়ভার নিতে হবে,এছাড়াও অভিভাবক বলেন স্কুলে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে গেলে অভিভাবকের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেন,এবং কি প্রধান শিক্ষকসহ,আর একজন অভিভাবক বলেন ওরা বাচ্চা মানুষ ওদের এখন বুঝার ক্ষমতা হয়নি এগুলো শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বুঝতে হবে যদি কোন অপরাধ করে থাকে তার অভিভাবক কে জানাতে পারেন চিঠির মাধ্যমে যেমন আমরা যেভাবে পড়তাম আমাদেরকে অভিভাবকের কাছে একটি চিঠি দিত,যারা দুর্বল ছাত্র তাদের জন্য আলাদা একটা ক্লাসের ব্যবস্থা থাকতো,প্রতিটি স্কুলে যদি এভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নির্যাতন চালায় পড়া লেখাতে আরো পিছিয়ে যাবে,তারা স্কুলমুখীহবে না।তাদেরকে আদর-যত্ন করে বোঝাতে হবে অভিভাবকের সাথে পরামর্শ করতে হবে,তাই বলে ইচ্ছামত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি নির্যাতন চালাতে পারেনা এবং আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কয়েকজন একই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর সাথে আলাপ করলে জানা যায় তারা বলেন অনেক সময় স্কুলের ড্রেস ময়না হয় থাকার কারণে ফুলহাতা শার্ট পড়ে যেতে হয় তার জন্য পিটুনি দেয় বিশেষ কারণে জুতার পরিবর্তনের স্যান্ডেল পরে গেলে পিটুনি দেয় কোনো কারণবশত শারীরিক সমস্যার কারণে স্কুলে না গেলে তাও পিটুনি দেয় স্কুলের দেওয়া রিডিং পড়া গুলো মুখস্থ করা কিছু ভুল হলে তাতে ডাবল পিটুনিতে দেয় তারা আরো বলেন এই সব খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে পিটুনি দেওয়ার কারণে স্কুলে যাইতে মন চায় না।
আগামী পর্ব দেখার জন্য ভিডিও সহ দেখতে চোখ রাখুন
তথ্য সংগ্রহ ক্রাইম রিপোর্টার-01782-509771