হ্নীলায় মহিলা মাদ্রাসার নামে বসত-ভিটা দখল শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ
বার্তা পরিবেশক : গত ১৭সেপ্টেম্বর কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী বিভিন্ন অনলাইন এবং ১৮সেপ্টেম্বর প্রিন্ট মিডিয়া প্রকাশিত সংবাদ হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা পরিকল্পিতভাবে কারো ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছুই না।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে শাহ আবুল মঞ্জুর (রা:) এর ইন্তেকালের পর ওয়ারিশ সম্পত্তির নিয়ে ভাগ-বাটোয়ারার প্রয়োজন হলে তৎকালীন চেয়ারম্যান এইচকে আনোয়ারের উদ্যোগে মাওলানা মোক্তার আহমদ, মাওলানা ফরিদ আহমদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম, ডাঃ জামাল আহমদ, মাওলানা মো: আলী, তোফাইল আহমদ, জহির আহমদের সমন্বয়ে উক্ত সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা হয়। ২০১০সালে ১জানুয়ারী উম্মে সালমা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে অদ্যবধি উক্ত মাদ্রাসা একই স্থানে রয়েছে।
২০০৯সাল থেকে ২০১৩সাল পর্যন্ত আনিসুল মোস্তফাদের বাড়ির চলাচলের রাস্তা তাদের খরিদামূলে মাদ্রাসার উত্তর পাশের আনোয়ারের বসত ভিটার লাগোয়া। যা বর্তমানে আনোয়ারের দখলে। দখল হয়ে যাওয়া রাস্তা উদ্ধারের জন্য ২০১৩সালের ৩০এপ্রিল আনিসের মা হোসনে আক্তার বাদী হয়ে আনোয়ারের বসত ভিটার কেয়ার টেকার মৌলভী রুস্তমের পুত্র ছাবের আহমদকে প্রধান আসামী করে ১০জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। যা পরবর্তীতে জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে এমআর নং; ১১৯/২০১৩ইং মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও সে থানায় অভিযোগ, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর সালিশ ও এডিএম কোর্টে মামলা করে। কোন ফলাফল না আসার আগেই বিশেষ মহলের ইন্ধনে সংবাদ সম্মেলন করে মরহুম শাহ আবুল মঞ্জুরের মেয়ে জামাই ও সাবেক টেকনাফ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রফিক উদ্দিন এবং ছেলে হাফেজ এনামুল হক মঞ্জুরকে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কারা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে জবর দখলের পায়তারা চালিয়েছে তা সকলে জানেন। যা বিশেষ মহলের প্ররোচনায় এই পরিবারের সম্মানহানির অপচেষ্টা মাত্র।
যদি উপযুক্ত তথ্য প্রমানাদি নিয়ে প্রকৃতপক্ষে জমি পেয়ে থাকলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সমন্বয়ে বসে ফায়সালা করার আহবান জানাচ্ছি। আর দিয়ারা জরিপের ১৪৯৬খতিয়ানমূলে আনিসের মা হোসনে আক্তার ও খালা রওশান আক্তার হতে ১২শতক জমি উল্টো পাওনা রয়েছে হাফেজ এনামুল হক মঞ্জুরের মা। উক্ত জমি ফিরিয়ে না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অপপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছে আনিস গং তা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। যাই হোক আমাদের হেয়পন্ন করার উদ্দেশ্য প্রকাশিত সংবাদাংশের প্রতিবাদ জানিয়ে এই সব ভিত্তিহীন তথ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী :
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ
হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদ্রাসা,
পশ্চিম সিকদার পাড়া, হ্নীলা, টেকনাফ।