সুবর্ণচরে সাংবাদিক ইব্রাহীম খলিল শিমুল এর ভগ্নীপতির ইন্তেকাল,বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ।
দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার সুবর্ণচর উপজেলা প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল শিমুলের ভগ্নীপতি মো. মামুন (৩২) বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯ টায় ঢাকা ধানমন্ডি সাতমসজিদ সড়কের সংকর এরিয়া একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ইডেন মাল্টি কেয়ারের আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।
এদিকে সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল শিমুলের ভগ্নীপতি মামুনের অকাল মৃত্যুতে
গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সাংবাদিক মহল ও এলাকাবাসী।
সে পেশায় একজন ড্রাইভার। তার নিজস্ব একটি গাড়ি চালাতেন।
২নংচরবাটা ইউনিয়নের মধ্যচরবাটা গ্রামের ভাঙ্গাপোল এলাকায় আলী আজ্জম মাঝি বাড়ির মো. রাশেদ কোম্পানির ছোট ভাই। তিনি স্ত্রী,৩ সন্তান,রাব্বি (৭),ঈশান(৫),আজগর (২)ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার ছোট ছোট বাচ্চাদের রেখে যাওয়ায় তার স্ত্রী, বাবা-মা সহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তার স্ত্রী লুবনা আক্তার জানান, গত এক মাস যাবৎ সে প্রচণ্ড জ্বরে ভোগছেন। প্রথম এক সপ্তাহ শুধু জ্বর ছিলো। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক এর পরামর্শে মেডিসিন খেয়েছে। জ্বরের কোনো উন্নত না হওয়ায় জেলা সদরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে উনার শরীরের কয়েকটি টেস্ট করানো হয়। টেস্টের পরে ডাক্তারের পরামর্শে মেডিসিন খেয়েও কোনো পরিবর্তন হয় নি।
পরবর্তীতে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের পরামর্শে ৩ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেও কোনো উন্নত হয় নি। পরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টায় জেলার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানেও কোনো উন্নত না হওয়ায় ওই রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়। সেখানে ২ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বিভিন্ন টেস্ট করেও রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। গত ১৯ তারিখ রাত ১২ টায় হঠাৎ ওই হাসপাতালে ভর্তিকৃত অবস্থায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায়।
সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা অবনতি দেখে আইসিইউ ভর্তির নির্দেশ দেয়। কিন্তু ওই হাসপাতাল সহ পার্শ্ববর্তী কোনো হাসপাতালে আইসিইউ বেড না থাকায় তাৎক্ষণিত ঢাকা ধানমন্ডির একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ইডেন মাল্টি কেয়ারেরর আইসিইউ’তে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির ২ দিন পর আজ মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, উনার এ অকাল মৃত্যুতে আমি উনার জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই। আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুক এ কামনা করি। এবং আমি ও আমার সন্তান নিয়ে সুখে থাকতে পারি এ প্রার্থনা করি।
মাল্টি কেয়ার হাসপাতালের ডাক্তার জানিয়েছে, তিনি এ অল্প বয়সে ডেঙ্গু রোগ,ব্লাড,কিডনি,ফুসফুস সমস্যা সহ একাধিক রোগে ভোগছেন। এক পর্যায়ে সে এ রোগ গুলো থেকে কাটিয়ে উঠতে না পারায় আজ আইসিইউ’তে থেকেও বাঁচতে পারেন নি।
মরহুমের নামাজে জানাজা সন্ধ্যা ৭ঘটিকার সময় নিজ বাড়ির দরজায় অনুষ্ঠিত হয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়।