সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাঁও মাইজহাটি মোড়ের ব্যবসায়ী ও ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি মো.জামাল হোসেনকে স্থানীয় চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার খাদিমুল ইসলামকে চাঁদা না দেওয়ায় হাতকড়ি পরিয়ে শারীরিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং তার অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ১নং ও ২ নং ওয়ার্ডের জনসাধারনের উদ্যোগে চারাগাঁও মাইজহাটি বাজার মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে দুই শতাধিক লোকজন অংশ নেন।চারাগাঁও মাইজহাটি বাজার কমিটির সভাপতি ডা.আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আলকাছ উদ্দিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম,বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ মিয়া,উত্তর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আমীর উদ্দিন,নির্যাতিত ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ জামাল হোসেন,আব্দুল হাসিম,২নং ওয়ার্ডের কৃষকলীগের সহ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ ভূঁইয়া,ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ইকবাল হোসেন সেলিম,ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান,ব্যবসায়ী সিদ্দিক মড়ল,ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম,হৃদয় মিয়া,তাহিরপুর কয়লা আমদানী গ্রুপের সদস্য মো. আনিছুর রহমান ভূইয়া,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমদ বাবু,ব্যবসায়ী আব্দুর রউফ,মোশারফ মিয়া,তাহিরপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য মুর্শেদ আলাম সাদ্দাম,ব্যবসায়ী স্বপন মিয়া,আফজাল,লাল মিয়া ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সুহেল মিয়া প্রমুখ।বক্তারা বলেন,ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশের অবস্থিত তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার খাদিমুল ইসলাম কর্তৃক প্রায় সময়ই চারাগাঁও এলাকার ব্যবসায়ীদের নিকট চাঁদা দাবী করে আসছেন।চাঁদা না দিলে শারীরিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও উঠেছে।গত ৯ মে চারাগাঁও মাইজহাটি মোড়ের বাজারে বৈধ ব্যবসায়ী ও ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ সভাপতি মোঃ জামাল হোসেনের দোকানে আরেক ব্যবসায়ী শহিদ মিয়া পাশ্ববর্তী নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা বাজারের রফিক এন্টারপ্রাইজ থেকে খরিদকৃত ৩৬ বস্তা শুকনো সুপারী একলাখ ৬৩ হাজার ৫৪৮ টাকায় কিনে এনে বিক্রির জন্য রাখা হয়।কিন্ত গত ১০ মে বিজিবি”র চারাগাঁও ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার খাদিমুল ইসলাম এসে এই খরিদকৃত সুপারীতে চোরাই সুপারী বলে দোকানে তল্লাশী চালান এবং চাঁদা দাবী করেন।ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বৈধ মালামালে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রক্ষিত ৩৬ বস্তা সুপারী বিজিবি নিয়ে যান এবং জামালকে হাতকড়ি পরিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালান।পরে এলাকার লোকজন এসে প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে জামাল হোসেনকে ছেড়ে চলে যান।বক্তারা অবিলম্বে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের দূর্নীতিবাদ নায়েক সুবেদার খাদিমুল ইসলামকে প্রত্যাহারসহ নিরীহ একাধিক মানুষের উপর চাদাঁ দাবী ও নির্যাতনের সুষ্ঠ বিচারের জন্য ২৮ বর্ডার গার্ড বিজিবি”র সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর দাবী জানান।এব্যাপারে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার খাদিমুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমি এ ব্যাপারে কোন কথার জবাব দিতে পারব না,আপনি আমাদের সিও মহোদয়ের সাথে কথা বলতে পারেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন। ২৮ বর্ডার গার্ড বিজিবি”র সুনামগঞ্জ অঞ্চলের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহবুবুর রহমানের(এই ০১৭৬৯৬০৩১৩০) একাধিকার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় উনার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।