আশিকুর রহমান শান্ত-ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ
১১-২০তম গ্রেডভুক্ত সরকারি চাকুরীজীবিদের বৈষম্যের অবসান, নবম পে-কমিশন গঠন, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, টাইম স্কেল-সিলেকশন, গ্রেড পূর্ণবহালসহ ৭ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সরকারি চাকুরিজীবি দাবী আদায় ঐক্য পরিষদ ভোলা জেলা শাখা।
১০অক্টোবর-২০২২ইং রোজ সোমবার সকালে ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী’ এর নিকট স্মারকলিপি তুলে দেন দাবী আদায় ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, সরকারি চাকুরিজীবী দাবী আদায় ঐক্য পরিষদ ভোলা শাখার আহবায়ক মোঃ জালাল উদ্দিন টিটু, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ নাসির উদ্দিন, ভোলা গণপূর্ত বিভাগ সিবিএ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দীন (শাহেদ)।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলোর হলো- ৯ম পে কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্যমুক্ত পে স্কেল বাস্তবায়ন করা। পে স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য ৫০ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করা, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা অনুযায়ী ১০ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনঃবহালসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ ভাগ এর স্থলে ১০০ ভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচ্যুইটির হার ১ টাকার স্থলে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি ২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা।বাজার মূল্যের ঊর্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয়পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ এবং চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করা এবং ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারিসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পরপর উচ্চতর গ্রেড প্রদান এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে।
বিঃদ্রঃ-যদি রাষ্ট্রীয় বিরুদ্ধে নিউজ দেওয়া হয় durantotv24.com -News Portal কোন প্রকার দায়ভার নিবে না।