পিরোজপুর জেলার আমড়াঝুড়ি কাউখালী উপজেলার আশোয়া আমড়াঝুড়ির একজন মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক আর তার মায়ের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ওমর ফারুকের মা’ বাংলাদেশ সরকারের ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের অনুদানে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক এম এম জাহিদুর রহমান বিপ্লব।চিত্রনাট্য মাসুম রেজার।
শনিবার(৩ ডিসেম্বর)বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো’র আয়োজন করা হয়েছে।চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘ওমর ফারুকের মা’ মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দিলারা জামান,শহীদ ওমর ফারুকের ভূমিকায় সাঈদ বাবু।অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো রূপায়ন করেছেন বন্যা মির্জা,সাহেদ শরীফ খান,খাইরুল আলম সবুজ,নাজনীন হাসান চুমকি,সালমা রহমান, আইনুন পুতুল,রিপন চৌধুরী,কাজী রাজু,সৈয়দ শুভ্র, মুকুল সিরাজ,এ বি এম মোতাহারুল ইসলাম,প্রণব ঘোষ,রোশেন শরিফ ও তুহিন আহমেদ।চলচ্চিত্রটির পরিচালক জাহিদুর রহমান বলেন,ওমর ফারুক ২১ বছরের যুবক,ছিলেন পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি।ওমর ফারুক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নির্ভীক যোদ্ধা। স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পিরোজপুরের টাউন ক্লাব চত্বরে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন ওমর ফারুক,পুড়িয়ে ফেলেন শহরের যত পাকিস্তানি পতাকা।এক সন্ধ্যায় অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে পিরোজপুরের ট্রেজারি ভেঙে লুট করেন অস্ত্র। আত্মগোপনে থেকে সংগঠিত করতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধাদের।জাহিদুর আরো বলেন,“যুদ্ধের সময় এক রাতে মাকে কথা দিয়ে গিয়েছিল রাত্রে ফিরে মায়ের হাতে ভাত খাবে।ওমর ফারুকের আর ফেরা হয়নি।সেই রাত্রে সে পাক বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। ধরা পড়ার সময় তার কাছে স্বাধীন বাংলাদেশের সাতটি পতাকা পায় পাক সেনারা।পাক হানাদার বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয় তার একটি পতাকা মাথায় হাতুড়ি পেটা করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তার,শহীদ হয় ওমর ফারুক,ভাসিয়ে দেওয়া হয় তার লাশ কীর্তনখোলা নদীতে,৪৬ বছর পেরিয়ে গেছে,শেষ হয় নি ওমর ফারুকের মায়ের অপেক্ষা।মা আজও ছেলের অপেক্ষায় তিনবেলা হাড়িতে ভাত বসান, রাত্রে সদর দরজা খোলা রাখেন ছেলের অপেক্ষায়, ছেলে আসবে সেই বিশ্বাসে,”এই গল্পের চলচ্চিত্রায়ন করেছেন।পরিচালক:-এম এম জাহিদুর বিপ্লব।