মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে এক তরুণী গৃহবধূকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে,১ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পয়শা পশ্চিম পাড়ায় গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।পরদিন গতকাল শুক্রবার শ্বশুরবাড়ি থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ।হত্যাচেষ্টার শিকার গৃহবধূর নাম আরিফা আক্তার।তার একটি এক বছর বয়সী পুত্রসন্তান রয়েছে।অভিযুক্ত স্বামীর নাম জোনায়েদ আহমেদ খান ওরফে নিলয়।সে পয়শা পশ্চিম পাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের ছেলে।
গৃহবধূ আরিফা জানায়,ঘটনার দিন রাতে তার স্বামী নিলয় তাকে ওড়না একবার ওড়না দিয়ে মুখচেপে ধরে, আরেকবার ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানোর চেষ্টা চালায়।আরিফা আরও জানায়,নিলয়ের সঙ্গে দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে সে জানতে পারে তার স্বামীর সঙ্গে এক পোশাক নারীকর্মীর সম্পর্ক রয়েছে।এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।নিলয় সামান্য ছুঁতোয় আরিফাকে মারধর করতো।এমনকি আরিফাকে বাবার বাড়ি থেকে মোটা অংকের টাকা আনার জন্য চাপ দিতো।পরে এ নিয়ে সালিশ বসে।সেখানে আরিফাকে একই উপজেলার হাটভোগদিয়া বাবার বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।নিলয় মাসে এক-দুইবার স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে এসে এখানেও আরিফাকে মারধর করতো।ইতিমধ্যে একটি পুত্রসন্তান জন্ম হওয়ায় আরিফা স্বামীর সব অত্যাচার সহ্য করতো। দুই সপ্তাহ আগে আর নির্যাতন করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্ত্রী আরিফাকে নিলয় তাদের বাড়ি নিয়ে যায়।কিন্তু নিলয় আগের মতোই আচরণ করতে থাকে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আরিফার বাবা রাশেদ হাওলাদার নিলয় ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামি করে নারী নির্যাতন মামলা করে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে সন্তানসহ উদ্ধার করে। স্বামী নিলয় ও শ্বশুর নজরুল পলাতক রয়েছে। নিলয়ের বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি পুত্রবধূর অভিযোগ অস্বীকার করেন।