রংপুরে মহানগর অভিরাম ব্রহ্ম আশ্রমের জমি বিক্রয় পূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকার হাজিরহাট থানার ২নং ওয়ার্ডে অভিরাম মনোহর বাবু পাড়া মহল্লায় অবস্থিত শ্রী শ্রী পবন চন্দ্র শ্রম আশ্রম মন্দিরের জমি বিক্রয় পূর্বক আত্মসাৎ করছে বলে প্রতক্ষ্যদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়।মন্দিরটি সম্পত্তি মৃত শ্রী গিরীশ চন্দ্র(সাধু)নিজস্ব মালিকানা থাকলে ও পরবর্তীতে তিনি মন্দিরের নামে সম্পত্তি দান করে থাকেন।মন্দিরটিতে স্থানীয় সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন পুজা উদযাপন করেন থাকেন।শ্রী শ্রী পবন চন্দ্র শ্রম আশ্রম মন্দিরে নামীয় মন্দিরের নামে তফসিল বর্ণিত মৌজা-অভিরাম,জে এল নং ৩৯খতিয়ান নং-৫২ দাগ নং ৮৮৪,৮৮৫,৮৮৯,৮৯০,৮৯৫,৯৩০,৯৪০,৯৪১,৯৪৩,৯৪৪ জমির পরিমান ২২৭ একরসহ গত ইং ০৬-১১-১৯৮৫ তারিখে রেজিষ্ট্রি দলিলমূলে দানপূর্বক উক্ত নামীয় মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মন্দিরে পূজা উদযাপন করেন।কিন্তু এলাবাসী সূত্রে জানা যায় ৫/৭বছর পূর্বে জনৈক নকুল চন্দ্র রায় ও অতুল চন্দ্র রায় উভয়ের পিতা -মৃত শরৎ চন্দ্র রায়-সাং অভিরাম মনোহর থানা-হাজিরহাট।তাদের প্রভাব প্রতিপত্তির জোরে নিজের পছন্দমতো লোকজনদের নিয়ে মন্দিরটি পরিচালনা করতে নামমাত্র একটি কমিটি গঠন করেন।জনৈক নকুল ও অতুল কাউকে না জানিয়ে মন্দিরের প্রায় ২একর জমি যাহার মূল্য ৩কোটি টাকা বিক্রয়পূর্বক আত্মসাৎ করছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়।
এ বিষয়ে জনৈক নকুল ও অতুল দুই ভাইয়ের বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে অতুলের দেখা হয় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বলেন মন্দিরে ২৬শতাংশ জমি আছে যা মন্দিরের নামে। আর এলাকাবাসী সূত্রে ৩একর ৫৮শতাংশ জমি আছে তার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কোর্ট এ বিষয়ে কথা হবে।জমি বিক্রি কথা বললে তিনি বলেন জমি বিক্রি করে মন্দিরে উন্নয়ন করছি।এমতাবস্থায় মাদক রায় নামে এক ব্যক্তি ক্ষমতার বল দেখিয়ে তার পক্ষ নিয়ে কথা বলেন।সনাতন ধর্মের লোকজন মন্দিরের জমি বিক্রিতে বাধা প্রধান করলে ও তিনি জমির মালিক বলে পরিচয় প্রদান করে থাকেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় গ্রামের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে শ্রী কবিন রায়,পলাশ রায়,গুরুদাস রায়,বিধান রায়,যগেশ রায়সহ ঐ এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একই ভাবে বলেন এই সম্পত্তি গিরীশ চন্দ্র(সাধু)মন্দিরের নামে সম্পূর্ণ দান করেন এবং তা দেখাশোনা করার জন্য তার পোষ্য ছেলে সুধীর চন্দ্র রায় ও শিষ্যদের বলেন।কিন্তু তার ভাতিজারা জোর পূর্বক জমি দখল করে বিক্রি করে থাকেন ঐ এলাকার সাবেক মেম্বার মোঃ আবুবক্কর ও মনোহর মনোহর হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ রানু মিয়া বলেন,যখন তিনি এ জমি দান করেন আমরা তখন ছিলাম তিনি মন্দিরে নামে দান করেন। কিন্তু আজ তার ভাতিজারা ক্ষমতার বল দেখিয়ে এবং মন্দির উন্নয়নের কথা বলে সব সম্পত্তি এক এক করে বিক্রি করছেন।কিন্তু মন্দিরে কোনো অবকাঠামো বা মন্দির নির্মাণ কোনো কিছু তিনি সঠিক ভাবে করছেন না।শুধু নাম মাত্র উন্নয়নের কাজ করছেন।বর্তমান জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসনকে অবগত করালে তিনি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।