রংপুরে উত্তর হাজিপুর বাড়াইপাড়ায় মন্দিরে ১০ দিন ব্যাপী চলছে শারদীয় দুর্গোৎসব
রংপুর জেলার তারাগন্জ উপজেলার উত্তর হাজিপুর বাড়াইপাড়া সার্বজনীন বড় দূর্গা মন্দিরে চলছে শারদীয় দুর্গোৎসব।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব। প্রায় ২একর জমির উপর এই মন্ডপটি তৈরী হয়েছে। রংপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ পূজা মন্ডপ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এখানে গত ৫০বছর ধরে শারদীয় দুর্গোৎসব হয়ে আসলে ও ৩বছর ধরে চলছে সব থেকে ব্যতিক্রম নান্দনিক কারুপন্য শিল্পের বৈচিত্র্যময় মাটির ও ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম তৈরী প্রতিমা।মন্ডপটির প্রবেশ পথে প্রায় ১২০ ফুট লম্বা ৩৫ ফুট প্রস্থের বিশাল আকৃতির গেট নির্মাণ করা হয়েছে।রংপুর জেলাসহ বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীরা যানবাহন ভাড়া করে আসেন এই পূজা মন্ডপে।
আয়োজকদের দাবী এবারে পূজা মন্ডপের সৌন্দর্য আগের চেয়ে অনেক বেশী সৌন্দর্যমন্ডিত করে তোলা হয়েছে। আর অধিক সংখ্যক দর্শক দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূজা মন্ডপে রাখা হয়েছে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা পথ।পূজা মন্ডপে বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্যমন্ডিত ও প্রযুক্তির উদ্যোক্তা লিটন চন্দ্র রায় ও দেবেন্দ্রনাথ রায় বলেন মন্ডপটি সাজাতে ব্যয় হয় প্রায় ১০লক্ষ টাকা। পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী মিলন চন্দ্র রায় বলেন নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। কমিটি স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে ১০০জনের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।মনোরম পরিবেশে এবং দর্শনার্থীদের সহযোগীতায় চলছে এবারের দূর্গা পুজা। অনুষ্টানটি শুরু হয় ২৮সেপ্টেম্বর।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী(ডিউক)এমপি সংসদ সদস্য রংপুর,তারাগন্জ।অনুষ্ঠানটি উদ্ভোধন করেন কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ কৃষকলীগ,ট্রাস্ট হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্ট।আরো বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব আতিয়ার রহমান,সভাপতি,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,উপজেলা শাখা তারাগন্জ,আরো ছিলেন মোঃ তাজউদ্দীন(তাজ)ইউপি সদস্য ৫নং ওয়ার্ড উত্তর হাজিপুর।
সাংবাদিক শ্রী রবীন্দ্রনাথ সরকার(রিপন)
সভাপতি,বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট রংপুর জেলা শাখা।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বাবু কুমারেশ রায়, চেয়ারম্যান ৪নং হাড়িয়াকুটি ইউনিয়ন পরিষদ।উপস্থানায় শ্রী বিজয় কুমার রায়। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলন করেন বাবু পাপন দত্ত।শেষে পুজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরলাল রায় বলেন মন্দিরটি পুননির্মাণের জন্য কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার ১৫লাখ টাকা অর্থ প্রদান করেন এবং ১০হাজার টাকা পুজা অর্চনার জন্য নগদ অর্থ দিয়ে যান।আমরা অনেক আনন্দিত এ ব্যাপারে সরকার উচ্চ মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।তিনি আরো বলেন এবারে সরকার আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় আমরা কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই দুর্গা মায়ের আশীর্বাদে শারদীয় দুর্গোৎসব সুসম্পূর্ণ করতে পারছি।