মোক্ষধামি গিরিশ চন্দ্র ব্রহ্মচারীর আত্মার শান্তি কামনার্থে গীতা যজ্ঞ ও ধর্মীয় আলোচনা সভা।রংপুর মহানগরের ২নং সিটি কর্পোরেশন মনোহর অভিরাম বাবুপাড়ায় মোক্ষধামি গিরিশ চন্দ্র ব্রহ্মচারীর আত্মার শান্তি কামনার্থে গীতা যজ্ঞ ও ধর্মীয় আলোচনা সভা ১২/১১/২০২২ইং শনিবার সকাল হইতে সারাদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানটি হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট বাবু প্রশান্ত কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ রংপুর মহানগর শাখা।এ্যাডভোকেট শ্রী যুক্ত বাবু মধুসুদন রায়(মধু),সাধারণ সম্পাদক,গুরুব্রহ্ম ট্রাস্ট, বাংলাদেশ।শ্রী যুক্ত বাবু পিপাস চন্দ্র রায়সহ সভাপতি,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রংপুর মহানগর শাখা।আরো উপস্থিত ছিলেন জনাব আবুল কালাম আজাদ,কাউন্সিলর,২ং ওয়ার্ড রংপুর সিটি কর্পোরেশন,রংপুর।মোঃ রাফিউজ্জামান বসুনিয়া,অফিসার ইনচার্জ থানা,রংপুর
শ্রী অরুন চন্দ্র রায়, সভাপতি বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ হাজিরহাট থানা,মহানগর,রংপুর।শ্রী হরি চন্দ্র রায়,সদস্য বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ রংপুর মহানগর শাখা এবং অভিরাম ব্রহ্ম আশ্রমের নবাগত কমিটি সকল সদস্যবৃন্দসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানটি শুভ উদ্বোধন করেন শ্রীমৎ দয়াল চন্দ্র ব্রহ্মচারী,সভাপতি,গুরুব্রহ্ম ট্রাষ্ট বাংলাদেশ,রাজপুর কেন্দ্রীয় গুরুব্রহ্ম আশ্রম, লালমনিরহাট।
সভাপতিত্ব করেন শ্রী যুক্ত বাবু বকুল চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ হাজিরহাট থানা।মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করেন, শ্রীমৎ ক্ষেত্রঞ্জ ব্রহ্মচারী।প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেব উপস্থিত ছিলেন,শ্রীমৎ দূর্গা চরণ ব্রহ্মচারী,প্রধান উপদেষ্টা,গুরুব্রহ্ম ট্রাষ্ট বাংলাদেশ। শ্রীমৎ সচিন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী।অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন শ্রী যুক্ত বাবু পলাশ চন্দ্র রায়।ধর্মীয় আলোচনা শেষে এ্যাডভোকেট মধুসূদন রায়(মধু) বলেন এই অভিরাম গুরুব্রহ্ম আশ্রমটি ১৩৪১ খ্রিঃ স্থাপিত।মন্দিরটি স্থাপিত করেন করুনান্ত ব্রহ্মচারী।তিনি প্রয়াতকালের আগে মন্দিরটি দেখাশোনা করার জন্য তার শিষ্যদের দায়িত্ব অর্পণ করেন। কিন্তু তারা এই দায়িত্ব পালন করতে বাধাপ্রাপ্ত হলে তখন তারা মন্দির ছেড়ে চলে যান কিন্তু জমি বেদখল কারীরা ক্ষমতা দেখিয়ে নিজস্ব মতের মধ্য দিয়ে কমিটি গঠন করে মন্দিরের নামে সকল সম্পত্তি এক এক করে বিক্রি করে।
একপর্যায়ে এলাকাবাসী ও ব্রহ্ম ট্রাষ্টের সকলকে অবগত করা হয়।আশ্রমের নামে সম্পত্তি পুনঃ উদ্ধারের কাজ চলমান রয়েছে।আমরা আইনের সহায়তার মাধ্যমে সম্পত্তি গুলো উদ্ধার করে মন্দিরে সকল কাজ করতে চাই।
এসময় এ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার রায় বলেন আমরা বিপক্ষের লোকজনকে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছি কিন্তু তারা আসেনি। এখন তারা যেহেতু আমাদের সারা দেয়নি সেহেতু জমি উদ্ধারে যে কাজ করা লাগবে আমি সর্বোচ্চ সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে এই মন্দিরে পূণরায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান চালু করব।এতে এলাকাবাসী সহ সকলেই একমত প্রদান করেন।শেষে সভাপতি শ্রী বকুল চন্দ্র রায়ের বক্তৃতা প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করেন।