মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকট রয়েছে।ফলে প্রাণিসম্পদ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন খামারি-উদ্যোক্তারা।
কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যানুযায়ী,১১টি পদের মধ্যে ৫ টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে।শূন্যপদ গুলো যথাক্রমে-মাঠকর্মী একজন,উপজেলা লাইভ-ষ্টক এসিস্ট্যান্ট(ইউএলএ)একজন,অফিস সহায়ক একজন,অফিস সহকারী(এমএলএস)একজন, ড্রেছার একজন।এদিকে গবাদিপশুর প্রাণঘাতী রোগের প্রতিষেধক (পিপিআর)ভ্যাকসিন না থাকায় ঝুঁকির আশংকা করছেন খামারিগন।
এ দিকে কর্তৃপক্ষের দাবি,চাহিদাপত্র পাঠালেও এখনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।তবে অন্যান্য ঔষধ ও প্রতিষেধক ভ্যাকসিনের মজুদ ও চিকিৎসা সেবা প্রদান স্বাভাবিক রয়েছে।অপরদিকে খামারিদের অভিযোগ তারা প্রত্যাশিত চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ পাচ্ছে না।সময় মতন ডাক্তার না থাকায় পরামর্শ ও চিকিৎসা পাওয়া যায় না।ফোন করে ডাক্তার পাওয়া যায় না।গবাদি পশু খামারি মোঃ জসিম বলেন পশু হাসপাতালটি বেশিরভাগ বন্ধ থাকে।পর্যাপ্ত ওষুধ পাওয়া যায় না।আমাদের বাহিরের থেকে ওষুধ কিনে আনতে হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খামারি বলেন পশু হাসপাতাল খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট হয় কারণ মেইন রোড থেকে অনেক ভিতরে।আর ঠিক মতো ওষুধ পাওয়া যায় না।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. শ্যামল চন্দ্র পোদ্দার বলেন,আন্তরিকতা থাকা স্বত্বেও জনবল,ঔষধ ও প্রতিষেধক প্রয়োজনের তুলনায় প্রাপ্তি অপ্রতুল হওয়ায় সেবা প্রত্যাশী খামারি ও গৃহস্থলী গবাদিপশু পালনকারী সবাইকে খুশি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।তিনি আরো বলেন আমি ৪মাস হলো এখানে আছি।ফোন দিয়ে আমাকে পাওয়া যায় না এই অভিযোগ সঠিক নয়।
“দুরান্ত টিভি ২৪ ডটকম”কোন প্রকার দায়ভার নিবে না-কাউকে ফাঁসানোর জন্য নিউজ করলে।