মাদারীপুরের আল-জাবির হাইস্কুলে সামান্য বৃষ্টিতেই বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু পানি,এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মাঠের পানি ক্লাসরুমে প্রবেশ করে।স্কুলটি নিচু স্থানে হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের কোনো সুবিধা না থাকায় এমন সমস্যায় পড়েছে বিদ্যালয়টি।শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ,ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।বিদ্যালয় মাঠে খেলতে না পারায় শিক্ষার্থীরা পড়েছে অলসতায়।এমন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে মাদারীপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পানিছত্র এলাকার আল-জাবির হাই স্কুল মাঠে। স্কুলের নেই পর্যাপ্ত ভবন।টিনের ছাউনি দেয়া ঘরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে পাঠদান।যা একটু বৃষ্টি হলেই ছাত্র-ছাত্রীদের পোড়তে হয় চড়ম ভোগান্তিতে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮১ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।দুইটি টিনসেট ঘর ও ছোট দুইটি ভবন রয়েছে আল-জাবির হাই স্কুলে যা ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করতে পর্যাপ্ত নয়।বর্তমানে হাই স্কুলটিতে পাঁচশত শিক্ষার্থীর ও ১৭জন শিক্ষক রয়েছে।এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতি বছরই বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে থাকে বলেও জানা গেছে।নেই খেলার মাঠ তবুও পিছিয়ে নেই খেলাধুলায়ও।
সোমবার (৭ নভেম্ববর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের মাঠেই হাঁটু পানি রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরাদের স্কুলের কক্ষে যেতে হাটু পানি বেয়ে যেতে হচ্ছে। কেউ আবার পিছল খেয়ে পড়ে যায় কাঁদা পানিতে।কাঁদা-পানি পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয় যাতায়াতে তাদের ভোগান্তি বাড়ছে চরমে। মাঠের ঘাস ও আগাছা পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে এতে বেঙ্গু মশার উৎপাত তো বারছেই।ফলে জলাবদ্ধ মাঠের বিরূপ পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন,মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত খেলাধুলা ও প্রাত্যহিক সমাবেশ করা যায় না।একটু বৃষ্টি হলেই শ্রেণীকক্ষে আসা-যাওয়া সমস্যা হয়। অনেক সময় যেতে-আসতে শরীরে কাঁদা লেগে যায় এতে ক্লাসের বিঘ্ন ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহাবউদ্দীন জানান, পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই মাঠটিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মাঠের পানি বেড়ে ক্লাসরুমে প্রবেশ করে।ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়। মাঠের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে মাটি ভরাটের বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও হ্রাস পায়।এতে পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে।মাদারীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিব উল্লাহ খান বলেন,আল-জাবির হাই স্কুলের বিষয়ে এখনো কোন আবেদন হাতে পাইনি তবে আবেদন হাতে পেলে বিষয়টি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করবো।
মীর ইমরান-মাদারীপুর বিশেষ প্রতিনিধি
০৭.১১.২০২২