রিপোর্টারঃ মীর ইমরান,মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি-বিধিসম্মত ভাবে সরকারি,বেসরকারি,নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের আয়ের উপর কর আরোপ করাই আয়কর।যাদের উপর কর আরোপ হয় তাদেরকে বলা হয় করদাতা।এসব করদাতারা আয়কর অফিসে সেবা নিতে আসলে টাকা বা ভোগান্তি ছাড়া কোন সেবা পাওয়া যায় না।এমন অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুর আয়কর অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।রিটার্ন ফরম পূরণ করতে ৫০০ – ৫০০০ টাকা নেন ঐ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আয়কর সনদ নিতে নূন্যতম ১ হাজার টাকা দিতে হয় আয়কর অফিস কমকর্তাদের।এসব ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে।
গত ৮ আগষ্ট ২০২৩ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নয়াকান্দি বাজিতপুর থেকে আয়কর সনদ নিতে এসেছেন কৃষক দুলাল মন্ডল। তিনি জানান,জমির দলিল করতে জরুরী আয়কর সনদ লাগবে।আমি অফিসে আসার পর মনিরুজ্জামান স্যারের কাছে বললে তিনি আমার কাছে চা খাওয়া জন্য ২ হাজার টাকা দাবি করে।আমি ২ হাজার টাকা দিয়ে আয়কর সনদ নিয়েছে।বিষয়টি নিয়ে আয়কর অফিসের স্টেনো টাইপিষ্ট মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উনি কৃষক মানুষ লিখতে পারে না,জমি দলিল করতে আয়কর সনদ লাগবে রিটার্ন জমা দিবেন।ফরম পূরণ করতে পারে না আমাকে বলছে লিখে দেতে।আমি লিখে দিয়েছি।উনি খুশি হয়ে আমাকে চা খেতে ২ হাজার টাকা দিয়েছেন।
এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে এই অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিডব্লিউডি কর্মকর্তা জানান,আমি তিন বছর রিটার্ন জমা না দেওয়ায় জরিমানার অজুহাত দেখিয়ে প্রথমে ১০ হাজার টাকা দাবি আয়কর অফিসের প্রধান সহকারীর।পরে আমার জরুরী প্রয়োজনে জোর করে তাকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে আয়কর সার্টিফিকেট গ্রহণ করি।সেবা পেতে হলে টাকা দিতে হয় নইলে ভোগান্তি পোহাতে হয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে মাদারীপুর সার্কেল -১৪৪ এর উপ কর কমিশনার ইনজামাম উল হক বলেন,আমি জয়েন করার পর থেকে এই ধরনের অভিযোগ এখনো পাইনি।আমার অফিসে কেউ টাকার বিনিময়ে বা জোরপূর্বক করদাতার কাছ থেকে অনৈতিক ভাবে টাকা আদায় করছে আমার জানা নাই।
যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।আয়কর অফিস সূত্রে জানা যায়,মাদারীপুরে নিবন্ধিত করদাতা আছে ৪৮ হাজার ৪৭২ জন। এর মধ্যে কর প্রদান করেন ১১ হাজার। ২০২২-২০২৩ কর বছরে কর আদায় হয়েছে ১১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।করদাতাগণদের রিটার্ণ ফরম পূরণে সহায়তার প্রয়োজন হলে তাদের সহায়তার জন্য জেলায় আয়কর আইনজীবী প্রাকটিশনারগণ রয়েছেন।