মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের সামনে মেসার্স হাওলাদার ফার্মেসী এন্ড হাওলাদার ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারের সামনে রাতের আঁধারে ইট বালু ফেলে দোকান ঘর বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলাম শিকদার ও ছেলেদের বিরুদ্ধে।
ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী আল আমিন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন দীর্ঘ ৪৫বছর ধরে ৭৬নং পাঙ্গাশিয়া মৌজায় ২শতাংশ ও ঝাউতলা মৌজায় ৪শতাংশ জমিতে ভূরঘাটা কানকিনি মহাসড়কের কালকিন উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের সম্মূখে দোকান ঘর নির্মান করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি।বিগত বিশ বছর আগের থেকে কালকিনি পৌরসভার অনুমতি নিয়ে টিন সেট বিল্ডিং নির্মান করি এবং নিয়মিত ভাবে পৌরসভার ভ্যাট ট্রাক্স কর পরিশোধ করে চলছি।এবং কয়েক দিন যাবত আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এসে বিভিন্ন রকম উস্কানী ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।তারা শক্তিশালী হওয়ায় দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে দখলের জন্য হুমকি দিয়ে চলছে।
আমরা হাঙ্গা,দাঙ্গামা পছন্দ করি না আইনের সম্মান রেখে সরকারের দ্বারে সোফাদ্ব হতে চাই।এছাড়াও আইনের উপর সম্মান রেখে ফৌজদারী কার্যবিধি মোতাবেক এই জমির উপর ১৪৪ধারা জারি করি।তাহার পরেও গতকাল রাত তিনটার দিকে ইসলাম শিকদার ও তাহার ছেলে (১)সুমন শিকদার(২)খলিল শিকদার(৩)মাসুদ শিকদার কালকিনি পৌরসভার পাঙ্গাশিয়া মৌজার উপজেলা হাসপাতালের সামনে ইট বালু ফেলে আমাদের ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে।এরপরে আমরা কোন উপায়ন্তর না পেয়ে আইনের প্রতি সম্মান করে কালকিনি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক আলম বলেন,দীর্ঘ ৪০-৪৫ বছর যাবৎ তারা এই জমি ভোগ করে আসছে হঠাৎ করে এসলাম শিকদারের সন্ত্রাসী বাহিনীরা তাদের দোকানের সামনে রেখে তাদের দোকানপাট দখলের পাঁয়তারা করছে। মেসার্স হাওলাদার ফার্মেসী এন্ড হাওলাদার ডায়াগনষ্টিকের মালিকরা অনেক ভালো মানুষ।তাই সরকারের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করি তাদের জন্য।
গোপালপুর থেকে আসা রোগী পারভিন আক্তার বলেন,আমি অসুস্থ হয়ে যখন হাসপাতালে আছি,তখন আমার কাছে তেমন টাকা ছিলো না।ঔষধ আনার,এক লোক বলল হাওলাদার ফার্মিসেতে গেলে আপনাকে ঔষধ দিতে পারবে।তারা স্বল্প টাকা রেখে বলল আপনার আর টাকা দিতে হবে না।বলে সুস্থ আগে।ভালো মানুষের বিপদ বেশি।
অভিযুক্ত এসলাম শিকদারকে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার জমিতে আমি ইট বালু রেখেছি।তারা শুধু শুধু আমাদের এরকম করে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ শামীম হোসেন বলেন,সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেছি তারা রাতের আধারে দোকানের সামনে ইট বালু ফেলেছে।ইট বালু সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছি।উভয়পক্ষে ডেকে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা করবো।