ভোলা ২৫০ জেনারেল হাসপাতাল থেকে মোঃ মুন্না (২২)নামে এক দালালকে আটক করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে হাসপাতালের ভিতরে নানা জায়গায় অবস্থান নিয়ে রোগী ও স্বজনদের হয়রানি এবং ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার(৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে সুমা নামের এক রোগীকে ভর্তি দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক।ওই রোগীর প্রেসক্রিপশনে একটি টেস্ট লিখে দেন ডাক্তার।রোগীকে রেখে স্বজনরা কাজের প্রয়োজনে বাহিরে যান।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে দালাল মুন্না।রোগীকে কোন কিছু না বলে রোগীর শরীর থেকে ব্লাড সংগ্রহ করেন মুন্না।তার কিছু সময় পরই একটি ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে নিয়ে এসে রোগীর মা মমতাজ বেগম এর কাছ থেকে ৫৫০টাকা দাবি করেন মুন্না।তাৎক্ষণিক রোগীর মা মমতাজ বেগম কিসের টাকা জানতে চাইলে তার সাথে অশোভনীয় আচরণ শুরু করে মুন্না।আটককৃত মুন্না ভোলা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাঠালীর সরদার বাড়ির বাকি উল্লাহ এর ছেলে
এ বিষয়ে রোগীর মামাতো ভাই মেহেদী হাসান বলেন,আমার বোনের কাছ থেকে কোন কিছু না বলে ব্লাড সংগ্রহ করে এবং একটি ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে ৫৫০ টাকা দাবি করেন।ঠিক সেই সময়ই আমি আমার বোনকে দেখতে হাসপাতালে আসি এসে দেখি দালাল মুন্না আমার খালামণির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য খারাপ ভাষায় কথাবার্তা বলছে। আমি তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে আমাকে ভুয়া রিপোর্টটি ভরিয়ে দেয়।
যে রিপোর্টটিতে আমার বোনের নাম ঠিকানা কোন কিছুরই মিল নেই।ভুয়া রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমাকে মারতে আসে এবং আমাকে দেখে নিবে বলে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় বিষয়টি আমি ভোলা সদর মডেল থানায় জানালে থানা থেকে ফোর্স এসে দালাল মুন্নাকে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন, আল্লাহ দেওয়া ৩০দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মুন্না হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে সন্দেহজনক ভাবে সারাদিন ঘোরাঘুরি করতে থাকে। এ সময় রোগী ও স্বজনদের নামে নানা ভাবে হয়রানি ও টাকা আদায় করে সে।তিনি বলেন,এ নিয়ে কেউ তার কাছে জিজ্ঞেস করলে তাকে মারতে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কোহিনুর বেগম বলেন, হাসপাতালে দালালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।নেই কোন হাসপাতালে উল্লেখযোগ্য কোন চিকিৎসা নেই।এরমধ্যে আবার দালাল এসে ভুলভাল বুঝিয়ে একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে যায়।টাকা দিতে না পারলেই দালাল চক্রের সদস্যরা গালিগালাজ করতে থাকে এবং গায়ে হাত তুলবে বলে হুমকি ধামকি দেয়।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)শাহীন ফকির জানান,আটকের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।এ কাজে তার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত রয়েছেন,সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।