ভোলায় সরকারি কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষে পে-কমিশন গঠন,অন্তবর্তী সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদানসহ ৭দফা দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
শনিবার(১অক্টোবর-২০২২)ভোলা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ১০টায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় কর্মরত মোঃ জালাল উদ্দিন টিটু।
এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত মোঃ নাছির উদ্দিন,যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত মোঃ আবুল কালাম আজাদ,যুগ্ম আহ্বায়ক ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে কর্মরত মোঃ মামুন,বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের সদস্য ও উপজেলা ভুমি অফিসে কর্মরত মোঃ আরিফ হোসেন,সংগঠনটির সদস্য ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে কর্মরত আলাউদ্দিন, সদস্য ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত জসিমসহ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীগণ।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, সন্তানদের লেখা পড়ার খরচ,পরিবারে চিকিৎসা ব্যয়, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার বহন করা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।এই অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষে পে-কমিশন গঠন,অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ জালাল উদ্দিন টিটু বলেন,দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে চার দফা কর্মসূচি চলমান রয়েছে।এর মধ্যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচি পালন করেছি,২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০সেপ্টম্বর পর্যন্ত দাবি আদায়ের স্বপক্ষে জনসংযোগ করেছি আমরা। তারই অংশ হিসেবে আজ ১অক্টোবর দেশের সকল জেলায় প্রেসক্লাব/জনবহুল স্থানে দাবি আদায়ের লক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দরা।আগামী কাল সংশ্লিষ্ঠ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরারবর স্মারকলিপি প্রদান করবো।
তিনি আরো বলেন আগামী ১৫অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন (গণভবন)অভিমুখে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য পদযাত্রা। এরপরও যদি এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে পরবর্তীকালে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মানববন্ধন থেকে কর্মচারী ঐক্য পরিষদ সাত দফা তুলে ধরেছে। এগুলো হচ্ছে,পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে।পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ে ৫০শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে,১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে কমিশন কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।
সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর,অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করতে হবে।
টাইম স্কেল,সিলেকশন গ্রেড,বেতন জ্যেষ্ঠতা পূনঃবহাল এবং সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে ১০০ভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচ্যুইটি ১ টাকায়=৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে।
ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫বছর পরপর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।এবং বাজার মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬২বছর নির্ধারণ করতে হবে ।