ভোলায় সংখ্যালঘুর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে চিন্ময় দে নামে এক সংখ্যালঘুর ৩২শতাংশ জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের(ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রব কাজীর জামাতা মো.মঞ্জুর আলম লিটনের বিরুদ্ধে।জবরদখল করে লিটন ১লা সেপ্টেম্বর রাতে ওই জমিতে বালু ফেলে ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী চিন্ময় দে।
তবে অভিযুক্ত লিটন বলছে,জবরদখল নয়,বরং তাঁর (লিটনের)ভোগদখল করা জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছেন চিন্ময় দে।
চিন্ময় দে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা কাচিয়া ইউনিয়নের চকটোষ মৌজার ৩২শতাংশ জমির মালিক ছিলেন তাঁর দাদা ক্ষেত্র মোহন দে।তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে(চিন্ময় দের পিতা)রমেন্দ্র নারায়ণ দে ওই জমি ওয়ারিশ সূত্রে ভোগদখল করছিলেন।পরে রমেন্দ্র নারায়ণের মৃত্যুর পর তাঁর দুই ছেলে চিন্ময় দে ও হিরন্ময় দে ওই জমির মালিক হন। দীর্ঘ কয়েকবছর চিন্ময় দে ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন।প্রতিবছর জমির খাজনাও পরিশোধ করছেন। ৮৩১খতিয়ানের ২০৬১দাগের ওই জমির এসএ ও বিএস খতিয়ান তার বাবা রমেন্দ্র নারায়ণের নামে রয়েছে। তারপরও গত ১লা সেপ্টেম্বর রাতে ওই ইউনিয়নের(ইউপি)চেয়ারম্যান আব্দুর রফ কাজীর জামাতা মঞ্জুর আলম লিটন চেয়ারম্যানের ইন্ধনে ওই জমিতে বালু ফেলে ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।লিটনের সঙ্গে তাঁর ছেলে হ্নদয় ও মিরাজ প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী তান্ডব শুরু করছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
চিন্ময় দে আরও জানান,১লা সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর জমি জবরদখল করে বালু দিয়ে ভরাটের কাজ যখন চলছে। তখন তিনি নিরুপায় হয়ে ৯৯৯-এ কল দিয়েছিলেন। বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও বালু ভরাটের কাজ বন্ধ করেনি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মঞ্জুর আলম লিটন সাংবাদিকদের জানান,তিনি কারো জমি জবরদখল করছেন না।তিনি মনোরঞ্জন কৃষ্ণর কাছ থেকে ২০৬১দাগের ৩২শতাংশ জমি ক্রয় করেছিলেন।সেই জমিতেই তিনি বালু ফেলে ভরাটের কাজ করছেন।তবে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জমির কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।তাঁর অভিযোগ চিন্ময় দে কারনে অকারণে তাকে হয়রানি করে আসছেন।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো.মনিরুল ইসলাম জানান,তিনি সম্প্রতি বোরহানউদ্দিন থানায় যোগদান করেছেন।এ বিষয়টিতে তিনি অবগত নন। তারপরও ভুক্তভোগী বোরহানউদ্দিন থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।