ভোলা সদর উপজেলা বাপ্তা ইউনিয়নে চাঁদা না দেওয়া মারধর ও একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ উঠছে মোশারেফ গংদের বিরুদ্ধে।মামলাবাজ মোশারেফ গংদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ন্যায়বিচারের দাবীতে ভোলা সদর মডেল থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। মোশারেফ বাপ্তা হাজী বাড়ীর মৃত আবু তাহের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটের সময় ভোলা সদর মডেল থানার সামনে এ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে।জানা যায় মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে মামলার আসামি ও উক্ত বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা এই বিক্ষোভ করে।
ভুক্তভোগী মো.নিরব(৩৮)অভিযোগ করেন বলেন, ১০/১৫ দিন আগে আমি বাপ্তা ৫ নং ওয়ার্ডের মৌচাক বাজারে মা ফুড বেকারি খুলতে গেলে মোশারেফ,মাকসুদ,বাবুল এরা তিন ভাই আমাকে বাঁধা দেয়। তখন আমি বলছি আমার তো এখনো ১১মাস আছে।আমরা ৫বছর চুক্তিতে কারখানা ভাড়া নেই।তখন তারা ২লক্ষ টাকা দাবি করে,এই টাকা না দিলে তারা কারখানা চালাতে দিবে না এ ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে।এ নিয়ে তাদের সাথে আমার কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে হঠাৎ তারা তিন ভাই আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমার কারখানার মহিলা কর্মচারীসহ ৪ আহত হয়। এসময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করে তারা। এই ঘটনার পর আমরা থানায় একটি জিডি করি।এই জিডিকে কেন্দ্র করে মোশারেফ গংরা ভোলা জজ কোর্টে আমাদের বিরুদ্ধে একে একে ৫টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।মামলায় আমাদের ও আমার প্রতিবেশীদের আসামি করে আমাদের হায়রানি করছে। তাই এলাকাবাসী মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে বাঁচতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাকসুদ কে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন টি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।এই বিষয় ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শাহিন ফকির বলেন,আসামিপক্ষ থানায় এসে আমাদেরকে জানিয়েছেন বাদীপক্ষ দুষ্ট এবং খারাপ প্রকৃতির লোক। যেহেতু মামলাটি কোর্টে সেহেতু এই কথাগুলো কোর্টে বললে ভাল হয়।কোর্টে যদি কথাগুলো আমলে নেয় তাহলে নিরপরাধ যারা তারা মামলা থেকে মুক্তি পাবে।এছাড়াও কোন নিরপরাধ লোক যাতে হয়রানির শিকার না হয় আমি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সেটিও বলে দিয়েছি।