লালমোহন বিএনপির উপর হামলা,আহত২৫ প্রতিবাদে ভোলায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় ভোলার লালমোহন উপজেলা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।বৃহস্পতিবার(৮সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফা হামলার ঘটনা ঘটেছে।এতে বিএনপি,যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ২৫জন আহত হয়েছে।
এ হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে ভোলা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির সোপান বলেন,তেল গ্যাসসহ দ্রব্য মূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের হামলায় ভোলায় এবং নারায়নগঞ্জে বিএনপির ৩জন নেতা-কর্মী নিহত হয়।এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ লালমোহন উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।ওই কর্মসূচিতে আসার পথে কর্তারহাট বাজার,গজারিয়া বাজার,রমাগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার স্বীকার হয়ে তাদের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ছাত্রদলের সভাপতি নয়ন,যুবদলের সুমন,সাইফুল্লাহ,মাহাবুব,শ্রমিক দলের জাকির,ছাত্রদলের সবুজ,ফারভেজ,নওশাদ,রুবেলসহ বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বাবুল পঞায়েত অভিযোগ করেন,পুলিশের সহায়তায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।তিনি আরও অভিযোগ করেন,সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের ভয়ে আহতরা হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে পারেনি।আহতদেরকে চরফ্যাসন,ভোলা সদর এবং বরিশালের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক বলেন,এসব হামলা মামলা করে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ করা যাবে না।এধরণের হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি আরও বলেন,আবার হামলা হলে বিএনপি বসে থাকবে না।আন্দোলন দাবিয়ে রাখা যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম বাসেত,জেলা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুর রহমান সেন্টু,ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিনসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।